হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন কি?

চুল পড়া বা টাকের সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে চমকপ্রদ ও আধুনিক পদ্ধতিটি হলো হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন। বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এই সার্জারি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না অনেকেই। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কি? এটি কিভাবে করা হয়? পদ্ধতিটি কতটা ফলপ্রদ? এর কোন সাইড এফেক্ট বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না! আজকের লেখাটি চুল প্রতিস্থাপনের খুঁটিনাটি এ বিষয়গুলো নিয়েই।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কি?

দেহের অন্যান্য অঙ্গ (যেমন: কিডনি, চোখ) এর মত বর্তমানে চুলও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে অন্য কোন মানুষের চুল রোগীর মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয় না। এখানে মাথার এক অংশ থেকে চুল নিয়ে অন্য অংশে লাগিয়ে দেওয়া হয়। চুল প্রতিস্থাপনের এই পদ্ধতিটিই হলো হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট। আমাদের মাথার চুলগুলোকে সাধারণত ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

১. টেম্পোরারি জোন বা অস্থায়ী অংশ
২. পারমানেন্ট জোন বা স্থায়ী অংশ

মাথার সামনের অংশকে বলা হয় টেম্পোরারি জোন। এ অংশের চুলগুলো স্থায়ী নয়। অর্থাৎ বয়সের সঙ্গে বা কোন শারীরিক জটিলতায় এ চুলগুলো ঝরে যায়।

মাথার পেছন সাইড ও কানের দুপাশের অংশকে বলে পারমানেন্ট জোন। এই অংশের চুল স্থায়ী। এরা জেনেটিক বা হরমোনাল কারণে সময়ের সাথে ঝরে পড়ে না।

এজন্যই বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে টাকের সমস্যা হলে মাথার সামনের দিকের চুলগুলোই ঝরে পড়তে দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও চুল কমে যেতে থাকে সামনের দিক থেকেই।

পারমানেন্ট জোনে চুলের ঘনত্ব বেশি থাকে। তাই টাক পড়ে যাওয়া টেম্পোরারি জোনে প্রতিস্থাপনের জন্য চুল/ফলিকল সংগ্ৰহ করা হয় এখান থেকেই। এই পারমানেন্ট জোনের যেখান থেকে চুল বা ফলিকল তুলে আনা হয় তাকে বলা হয় ‘ডোনার এরিয়া’।

আরও পড়ুন-

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিভাবে করা হয়?

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট একটি সূক্ষ্ম সার্জারি। এক বা দুজন নয়, সার্জারিটিতে প্রয়োজন হয় প্রশিক্ষিত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জনদের একটি দলের। যেখানে অবশ্যই থাকেন কয়েকজন প্লাস্টিক সার্জন। সাথে থাকেন কিছু প্রশিক্ষিত ডার্মাটোলজিস্ট ও ফলিকল কাটার জন্য থাকেন কয়েকজন কাটারস্।

অপারেশনের আগে সবসময়ই রোগীর ওপর লোকাল অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়। এটি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে অস্থায়ীভাবে অজ্ঞান করার মাধ্যমে রোগীর কোন নির্দিষ্ট অংশের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়‌। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয় মাথার স্কার্ল্ফে।

যেহেতু হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন সার্জারিটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সার্জারি তাই এটি বেশ সময়সাপেক্ষও। অপারেশনটিতে কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা লেগে যায়।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।

১. এফইউটি (Follicular Unit Transplantation)
২. এফইউই ( Follicular Unit Extraction)
৩. ডিএইচআই (Direct Hair Implantation)

এফইউটি পদ্ধতিতে মাথার পেছন থেকে স্কার্ল্ফ চওড়ায় প্রায় আধ ইঞ্চি পরিমাণ কেটে চামড়াসহ তুলে আনা হয়। সেখান থেকে ফলিকল কেটে বের করে আনা হয় কৃত্রিমভাবে। সে ফলিকল ইনজেকশন পুশ করে করে লাগানো হয় মাথার সামনের অংশে। এ পদ্ধতিতে ৪ ঘন্টায় প্রায় ২০০০ চুল লাগানো যায়। পদ্ধতিটিতে একজন সার্জন প্রায় ৬০০০ চুল লাগাতে পারেন।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে এফইউটি পদ্ধতিটি ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। কারণ এ পদ্ধতিটিতে তুলনামূলক জটিলতা বেশি। মাথার পেছনে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় সেটি সেলাই করা হয় এবং তা শুকাতে প্রায় ১০ দিন লেগে যায়। সার্জারির পর বেশকিছু দিন যাবৎ ক্ষতের দাগ ও ব্যথা থাকে। তবে চুল কামাতে হয় না।

তাছাড়া প্রতিটা ফলিকল ও চুলকে আলাদা করে কাটা, তারপর আলাদা করে প্রতিটা অংশ জোড়া লাগানো সব মিলিয়ে পদ্ধতিটি বেশ ঝামেলার।

এফইউই পদ্ধতিতে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ব্যবহার করা হয় একটি মাইক্রোমটর। এই মাইক্রোমটর দিয়ে ‘ডোনার এরিয়া’ থেকে প্রতিটি চুলকে আলাদা আলাদা করে তুলে আনা হয়। এতে একটি পাঞ্চ থাকে যা দিয়ে একটি একটি করে চুল তুলে আবার মটর দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এ পদ্ধতিতে এফইউটি এর মতো কাটাছেঁড়ার কোন প্রয়োজন পড়ে না। তবে মটরের কারণে ট্রান্সসেকশন বা গোড়া কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এফইউই পদ্ধতির একটি অসুবিধা হলো এখানে একসাথে খুব বেশি চুল লাগানো যায় না। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যদি ১০০ টি চুল লাগানো হয় তবে আনুমানিকভাবে টিকে থাকবে মাত্র ৩০ টা! ৭০ টি-ই টিকবে না। একারণে এফইউই পদ্ধতিটিও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতি থেকে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘ডিএইচআই’-ই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি। সেইসাথে চুল প্রতিস্থাপনে এপর্যন্ত ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিও। এ পদ্ধতিতে হ্যান্ড পাঞ্চ ব্যবহার করে প্রতিটি চুল হাত দিয়ে তোলা হয়। যদিও হাত দিয়ে করা হয় বলে সময় বেশি লাগে। তবে কোন কাটাছেঁড়া বা মাইক্রোমটরের ব্যবহার নেই বলে এতে জটিলতা কম।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এখানে ১০০টি চুল লাগানো হলে টিকে যাবে প্রায় ৯৭ টিই! বর্তমানে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে ডিএইচআই পদ্ধতিটিই সার্জনদের কাছে বেশি ভরসাযোগ্য। ধারণা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে সব সময়ের জন্য এ পদ্ধতিটিই ব্যবহার করা হবে।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কাদের জন্য?

অনেকে আছেন যারা ২৫-৩০ এ পা রাখতে না রাখতেই বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে টাকের সমস্যায় পড়ে যান। মেয়েদের ক্ষেত্রে মনোপজের পর চুল পড়ার হার স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেড়ে যায়। আবার দুর্ঘটনাজনিত কারণেও অনেকে হারিয়ে ফেলেন নিজের প্রিয় চুলগুলো। এরকম কিছু ক্ষেত্রে যেখানে নতুন করে চুল গজানো প্রায় অসম্ভব সেখানেই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট তার সাফল্য দেখাতে প্রস্তুত!

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন করতে পারেন চুলের সমস্যায় ভোগা যেকোন কেউ। ২৫ বছরের যুবক হোক বা ৬০ বছরের বৃদ্ধ, বয়স এখানে বড় বিষয় নয়। স্বাস্থ্যবান ‘ডোনার এরিয়া’ থাকলে যেকোন বয়সেই হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব।

সাধারণত তেমন কিছুই খেয়াল রাখতে হয় না। শুধু সুস্বাস্ব্যের অধিকারী হলেই চলে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের ক্ষেত্রে রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকলে সার্জারিতে কোন জটিলতা দেখা দেয় না।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের খরচ

অন্যান্য দেশে চুল প্রতিস্থাপনে প্রতি ফলিকল হিসেবে ফি নির্ধারণ করা হয়। যেমন: ভারতে এফইউটি পদ্ধতিতে ক্লিনিকভেদে ফলিকল পিছু খরচ পড়ে ৪০-৫০ টাকা। এবং এফইউই পদ্ধতিতে ফলিকল পিছু খরচ পড়ে ৫০-৬০ টাকা।

বাংলাদেশেও এখন ব্যাপকভাবে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব হচ্ছে। তবে চুল প্রতিস্থাপন সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় বিষয়টিতে এখনো অনেকে আস্থা রাখতে পারছেন না। যদিও বিদেশে যে সার্জারিটি হচ্ছে সেটিই এখন ঢাকা মেডিকেলসহ বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে সফলভাবে করা যাচ্ছে!

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ফলিকল পিছু টাকা হিসেব করা হয় না। এখানে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে মোট ১ লাখ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো খরচ পড়ে। সার্জানদের পরিশ্রম ও ক্লিনিকভেদে ফি এর তারতম্য হয়ে থাকে।

কতদিনে ফল পাওয়া যাবে?

প্রতিস্থাপিত চুল কিছুদিন পর ঝরে গিয়ে সেখানে পুনরায় চুল গজাতে শুরু করে। এটি মোটামুটি ধীর একটি প্রক্রিয়া। ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চুল গজানো শুরু হয়। সে হিসেবে আপনি এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধাগুলো পেতে শুরু করবেন।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পর কি বিশেষ যত্ন প্রয়োজন?

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা হেয়ার রিপ্লেসমেন্টের পর বিশেষ কোন যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। আপনি পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। এমনকি ফলোআপের জন্যও কড়া কোন নিয়ম নেই।

তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় মনে রাখা খুবই জরুরী। সবসময় পরিষ্কার থাকতে হবে। স্কার্ল্ফে যেন ধুলোময়লা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত পুষ্টি হিসেবে যে সকল মাল্টিভিটামিন দেওয়া হবে সেগুলোই যথেষ্ট। তবে এসময় রোগী কোনমতেই ধুমপান করতে পারবে না।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধা

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট/হেয়ার রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা মূলত ন্যাচরাল সৌন্দর্য্যে। টাকের সমস্যা থেকে রেহাই পাবার জন্য পরচুলার সাহায্য নেন অনেকেই। তবে কৃত্রিম চুল হওয়ায় তাতে তেমন সুবিধা পাওয়া যায় না। সবসময় চুল খসে পড়ার ভয় থেকে যায়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে এধরণের কোন বিড়ম্বনা নেই। চলাফেরা, খেলাধুলা বা দৌড়ঝাপ কোনকিছুতেই বিন্দুমাত্র সমস্যা হয় না।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টই টাক সমস্যার একমাত্র নিরাপদ, প্রাকৃতিক ও স্থায়ী সমাধান। এছাড়া মহিলাদের চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে সৌন্দর্য বাড়াতেও এটি শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারে।

এই চুলে কোন কৃত্রিমতা নেই। এটি স্থায়ী‌। চুলের ঘনত্বও ভালো হয়। চুল বাড়তে থাকে স্বাভাবিকভাবেই। সে চুল আপনি কেটে ছোট করতে পারেন, নিয়মিত শ্যাম্পু-কন্ডিশনিং, অয়েল ম্যাসাজও করতে পারেন। রিবন্ডিং বা কার্ল করতেও কোন সমস্যা হবে না। এমনকি ন্যাড়া করলেও তাতে নতুন করে চুল গজাবে!

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের আরেকটি সুবিধা হলো পিআরপি বা অন্যান্য থেরাপির মতো চিকিৎসাটি আপনাকে সারাজীবন ধরে চালিয়ে যেতে হবে না। সার্জারিটি একবার করা হলেই সারাজীবনের জন্য আপনার টাক বা চুল কমে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি।

শুধু মাথা নয় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা যাচ্ছে ভ্রু, গোঁফ এবং দাঁড়িতেও। কারণ অনেক সময় কোন দুর্ঘটনায় ভ্রু বা গোঁফের ক্ষতি হয়ে যায়। তাছাড়া অনেকের গোঁফ ও থুতনির দাঁড়ির মধ্যে চুল থাকে না কিন্তু তারা ফ্রেঞ্চকাট রাখতে চান! তাদের এ সমস্যার সমাধানেও প্রয়োজন হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট। আজকাল জুলপিতেও হেয়ার রিপ্লেসমেন্ট করা যাচ্ছে।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে যেহেতু সকল সার্জারির-ই কিছু না কিছু প্বার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে সে হিসেবে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের কিছু জটিলতা থাকা অসম্ভব নয়।

সার্জারির পর দু-তিন দিন পর্যন্ত মাথা সামান্য ভার মনে হতে পারে। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে নানা জটিলতা দেখা দেয়।

অপারেশন নিয়ে অবশ্য চিন্তার কিছু নেই। সার্জনরা অভিজ্ঞ হলে সাধারণত কোন সমস্যা হয় না। লোকাল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে সার্জারিটি করা হয় বলে ব্যথা/যন্ত্রণা হওয়ারও আশঙ্কা নেই। ব্লিডিংও হয় খুব অল্প। তবে সার্জারি পরবর্তী বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত ব্যথা বা দাগ থেকে যেতে পারে। তাছাড়া যে অংশ থেকে চুল তুলে আনা হয় সেখানে চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারিতে ভয় পাবার সত্যিই কিছু নেই। এটি খুবই নিরাপদ একটি সার্জারি। ফলিকল লাগালে চুল আসবেই। অসফল হবার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে আপনি শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন।

প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন –

Leave a Comment