বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম

আপনারা যারা বিজয় কিবোর্ড দিয়ে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি ভীষণ কাজে আসবে। কারণ, এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন- বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করে বাংলা যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম।

আসুন জেনে নেই–

বিজয় কিবোর্ড দিয়ে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম

ধরে নিচ্ছি, আপনার পিসিতে বিজয় বাংলা সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা আছে। প্রথমেই এম.এস.ওয়ার্ড সফটওয়্যাটি ওপেন করে ফন্ট সেকশন থেকে SutonnyMJ ফন্টটি (বিজয় সফটওয়্যার এর সাথে এই ফন্টটি কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্সটল হয়ে যায়) সিলেক্ট করে নিন। তার পর Ctrl+Alt+B একসাথে চেপে বিজয় ক্লাসিক করে নিন।

যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম

যুক্তবর্ণ লিখতে হলে কিবোর্ডের G ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ প্রথম বর্ণ লিখার পর ২য় যে বর্ণটি যুক্ত করতে চাই সে বর্ণটি লিখার আগে কিবোর্ডের G বাটনে একটি চাপ দিয়ে তারপর ২য় বর্ণটি লিখতে হবে। যেমন-

শান্ত= ন্ত, [এখানে প্রথমে (ন, b) বর্ণটি লিখে কিবোর্ডের (G) বাটনে একটি চাপ দিয়ে তারপর (ত, k) বর্ণটি লিখতে হবে]।

অর্থাৎ,

ন+G+ত = ন্ত = শান্ত

ক+G+ত = ক্ত = মুক্ত

ন+G+ধ = ন্ধ = সন্ধা

এভাবেই যুক্ত বর্ণ লিখতে হয়।

কয়েকটি কঠিন যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম

পঞ্চম =ঞ্চ (+G+5) (Shift+I+G+Y)
গঞ্জ =ঞ্জ (ঞ+G+জ) (Shift+I+G+U)
কৃষ্ণ =ষ্ণ (ষ+G+ণ) (Shift+N+G+Shift+B)
জ্ঞান =জ্ঞ (জ+G+) (U+G+Shift+I)
উত্থান =ত্থ (+G+) (K+G+Shift+K)
চট্টগ্রাম =ট্ট (ট+G+ট) (T+G+T)
মণ্ডল =ণ্ড (+G+5) (Shift+B+G+E)
অক্ষর =ক্ষ (ক+G+ষ) (J+G+Shift+N)
ক্রমিক =ক্র (+2) (J+Z)
আগুন =গু (ত+G+ম) (O+S)
আত্মা =ত্মা গ+ (K+G+M)
অত্র =ত্র (ত+) (K+Z)
পদ্মা =দ্ম (দ+G+ম) (L+G+M)
বদ্ধ =দ্ধ (দ+G+ধ) (L+G+Shift+L)
পন্থ =ন্থ (*+G+) (B+G+Shift+K)
সন্ধা =ন্ধ (ন+G+ধ) (B+G+Shift+L)
ভ্রমর =ভ্র (ভ+) (Shift+H+Z)
রূপ =রূ (র+) (V+Shift+S)
শুমারি =শু (শ+) (Shift+M+S)
হৃদয় =হ (হ+) (I+A)
ব্রাহ্মন =ব্হ্ম (হ+G+ম) (I+G+M)

১। সাধারণত উভয় হাতের দশটি আঙ্গুলই কম্পিউটার কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়। প্রথমে ইংরেজি টাইপিং নিয়ম অনুযায়ী দুই হাতের আঙ্গুল সঠিক অবস্থানে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, বাম হাতের আঙ্গুলে প্রধানত স্বর আছে (দুটি স্বর আছে)। তাই ব্যঞ্জনবর্ণ হবে ডান হাতের আঙুলে।

২। কীবোর্ডে, যখনই সম্ভব ছোট এবং বড় জোড়া ব্যবহার করুন। যেমন- অ -1, -1, -, -, -1, ক-খ, গ-ঘ, চ-ছ জ-ঝ, ট-ঠ, ড-ঢ, ত-থ, দ-ধ, প-ফ,ব-ভ, ডু-ঢ়। অক্ষরগুলি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ছোট হাতের অক্ষরগুলি তাদের স্বাভাবিক অবস্থানে থাকে এবং বড় হাতের অক্ষরগুলি স্থানান্তরিত অবস্থানে থাকে। উপরন্তু, র-ল, ম-শ ইত্যাদি জোড়াও স্বাভাবিক এবং একই বোতামে স্থানান্তরিত হয়।

৩। ইংরেজি G বোতামটি রূপন্দ্র বোতাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই বোতামটি স্বরবর্ণকে স্বরবর্ণে এবং ব্যঞ্জনবর্ণকে সিলেবলে রূপান্তরিত করে। ফল যোগ করতে G বোতাম ব্যবহার করুন। যাই হোক, যেহেতু R এবং J ক্ষেত্রগুলি কীবোর্ডে অবস্থিত, সেগুলি সরাসরি টাইপ করেও অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।

শেষ কথা

কেমন লাগলো আমাদের আজকের আয়োজন? কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু! আর আপনি যদি এমনই আনকমন এবং ইন্টারেস্টিং পোস্ট পড়তে খুব পছন্দ করেন, তাহলে আমাদের সাথেই থাকবেন।

Leave a Comment