ফেসবুক থেকে আয় করার কিন্তু বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেহেতু এই প্ল্যাটফর্মে কমবেশি সবাই দিনের বড় একটি অংশ ব্যয় করে থাকে; তাই যদি ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার সঠিক উপায়গুলো জানা থাকে তাহলে সবার পক্ষেই Facebook থেকে টাকা ইনকাম করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই আজকের লেখায় ফেসবুক থেকে আয় করার দারুণ কার্যকর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ফেসবুক ব্যবহার করেননা, এমন মানুষ বোধহয় আজকালকার দিনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে ফেসবুক অন্যতম। আমরা আমাদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে সারাদিন কানেক্টেড থাকতে, তাদের জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আপডেট জানতে, তাদের ছবিতে লাইক – কমেন্ট করতে ফেসবুক হরহামেশাই ব্যবহার করি। কিন্তু এ ফেসবুক যে আয় করার জন্যেও একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এ ব্যাপারে কয়জনই বা জানি।
১। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার উপায় (How to make money online from Facebook)
ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি আয় করার কোনো সুযোগ নেই৷ তবে যারা ওয়েবসাইটে ব্লগিংয়ের কাজ করেন, তারা অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা ব্লগগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন এবং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করে আয় করে থাকেন।
এছাড়া ফেসবুক থেকে আয় করার অন্যতম উপায় হলো নিজের একটি ফেসবুক পেজ থাকা৷ ফেসবুক পেজ থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটিতে থাকা লাইক বাটনটি একবার প্রেস করলে আপনার আপলোড করা সমস্ত কন্টেন্ট পেজে লাইক দেয়া ব্যক্তিরা দেখতে সক্ষম হবে৷
ফেসবুকে নতুন একটি পেজ খোলা খুবই সহজ। ইউটিউবে যেকোনো টিউটোরিয়াল দেখে নিলে খুব সহজেই একটি পেজ খুলতে পারবেন৷
তবে ফেসবুকে পেজ খোলার সাথে সাথেই সেখান থেকে অর্থাৎ আপনার ফেসবুক পেজ থেকে আয় করা সম্ভব হয়না। বরং আয় করার জন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে সে পেজের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হয়। সত্যি বলতে, নতুন একটি ফেসবুক পেজের লাইক এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানো একটি চ্যালেঞ্জই বটে।
মনে রাখবেন, প্রতিটি পেজের জনপ্রিয়তা এবং লাইকের সংখ্যা সেটির কন্টেন্টের মানের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। চলুন এবার জেনে আসি কিভাবে একটি ফেসবুক পেজের মান বাড়িয়ে সেটিকে জনপ্রিয় করে তুলবেন।
#১ নিশ বাছাই : ফেসবুক পেজের মান বাড়ানোর জন্য প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট টপিক বা নিশ বেছে নিতে হবে৷ যেহেতু পেজের প্রতিটি কন্টেন্ট নিজেকে তৈরি করতে হয় তাই নিশে (Niche) বাছাই এর ক্ষেত্রে নিজের আগ্রহকে প্রাধান্য দিন৷ ধরা যাক আপনি সাজতে ভালোবাসেন। রূপচর্চা, মেকআপ ইত্যাদি বিষয়ে আপনার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।
আপনি চাইলেই ফেসবুকে এ বিষয়ক একটি পেজ খুলতে পারেন এবং সেই পেজে সাজগোজ এবং রূপচর্চা সম্পর্কিত বিভিন্ন কন্টেন্ট যেমন আর্টিকেল, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি আপলোড করতে পারেন৷
তবে কখনোই আপনার নিশ নিয়ে কাজ করা অন্য কাউকে হুবহু অনুসরণ করতে যাবেননা। কেননা এটি করলে ফেসবুক পেজ থেকে আয় তো করতে পারবেনই না, উপরন্তু নিজের মানসম্মান নষ্ট হওয়ার বড় একটি সম্ভাবনা দেখা দেবে৷ তাই নিজে যেটুকু জানেন সেটুকুর ওপর বিশ্বাস রেখে কাজ করুন৷
#২ নিয়মিত কন্টেন্ট লিখুন ও পাবলিশ করুন : ফেসবুক পেজের মান বাড়ানোর পরের কাজটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। নিজের ফেসবুক পেজে নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করুন। সে কন্টেন্টগুলোর মাঝে ক্রিয়েটিভিটি দেখান। গতানুগতিক কিছু না করে ভিন্নধর্মী কন্টেন্ট আপলোড করুন।
সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনি নিজের কাজের মাধ্যমে ভালো কিছু উপহার দিতে চাইছেন৷ পেজের ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তাদের কমেন্টের রিপ্লাই দিন। মাঝেমধ্যে সকল ফলোয়ারকে আপনার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট দিন। ফলোয়ারদের নিয়ে ফেসবুকে গ্রুপ ও খুলতে পারেন এবং সেখানে মাঝে-মধ্যে আড্ডাও দিতে পারেন। এভাবে ধীরে ধীরে নিজের ফেসবুক পেজকে গড়ে তুলুন।
এতক্ষণ ফেসবুক পেজের মান কিভাবে বাড়াবেন সেটি নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করলাম৷ নিশ্চয়ই ভাবছেন পেজের মান বাড়ানো নিয়ে যে এতকিছু বলছি এর সাথে ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার সম্পর্ক কোথায়?
মনে রাখবেন, একটি ফেসবুক পেজ থেকে আয় করা তখনই সম্ভব যখন সে পেজের ফলোয়ার বাড়বে। পাশাপাশি ফলোয়ারদের কাছে পেজটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ফেসবুক পেজ থেকে সাধারণত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করা হয়ে থাকে। এ মাধ্যমটি দিন দিন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ চলুন জেনে আসা যাক সে উপায়টি সম্পর্কে।
আরও পড়ুন-
ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করার বা মনিটাইজেশন পাওয়ার পদ্ধতিকে ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন কিংবা ইনস্ট্রিম অ্যাডস সার্ভিস বলে।
এটির মাধ্যমে ফেসবুক পেজে আপলোড করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো যায় যে বিজ্ঞাপনগুলো থেকেই মূলত আয় করা সম্ভব হয়।
ফেসবুক ইনস্ট্রিম অ্যাডস সার্ভিসটির জন্য একটি ফেসবুক পেজের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। যেগুলো হলো –
- নিজের একটি ফেসবুক পেজ থাকা৷
- ফেসবুক পেজের মালিকের বয়স কমপক্ষে আঠারো বছর হওয়া৷
- পেজে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের লাইক থাকা।
- পেজে আপলোড করা প্রতিটি ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিটের হওয়া।
- সার্ভিসটি পাওয়ার জন্য আবেদন করার আগের ৬০ দিনে ফেসবুক পেজের ভিডিওতে কমপক্ষে ৩০০০০ ভিউজ থাকা এবং প্রতিটি ভিউয়ের সময়কাল কমপক্ষে ১ মিনিট হওয়া।
- ফেসবুকের পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি মেনে ভিডিও তৈরি করা এবং আপলোড করা৷
- ফেসবুক ইনস্ট্রিম অ্যাড সার্ভিস সাপোর্ট করে এমন ভাষায় ভিডিও তৈরি করা। বলে রাখা ভালো, এটি বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে তাই চাইলে বাংলা ভাষাতেও ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
একটি ফেসবুক পেজের উপরোক্ত যোগ্যতাগুলো থাকলেই সেটি থেকে ইনস্ট্রিম অ্যাডস সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মাধ্যমে আয় করা সম্ভব৷ এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেনো শুরুতেই নিজের ফেসবুক পেজের মান বাড়াতে বলেছিলাম!
যদি নিজের ফেসবুক পেজের মান শুরু থেকেই বাড়ানোর জন্য পরিশ্রম করেন তাহলে ইনস্ট্রিম অ্যাডস সার্ভিস পাওয়ার শর্তগুলো পূরণে মোটেও অসুবিধা হবেনা এবং খুব অল্প সময়েই মনিটাইজেশন পেতে পারবেন।
২। ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় (Earn money through Instant Article in Facebook)
২০১৫ সালে ফেসবুকে “ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” নামক ফিচারটি যুক্ত হয়৷ এটি ফেসবুকের এমন একটি মোবাইল পাবলিশিং টুল যেটিতে অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে কোনো ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট দ্রুত লোড করার ব্যবস্থা করা হয় যা পাঠকদের বেটার রিডিং এক্সপেরিয়েন্স দিতে সহায়তা করে।
ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ব্যবহার করে নিজের ব্লগের লোডিং স্পিড বাড়ানো যায় পাশাপাশি পোস্টের মধ্যে ফেসবুক প্রদত্ত বিজ্ঞাপন দেখিয়েও আয় করা যায়। জেনে রাখা ভালো যেহেতু এটি ফেসবুকের মোবাইল পাবলিশিং টুল তাই এটি শুধুমাত্র ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপলিকেশনেই সাপোর্ট করে।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করতে চাইলে নিজের একটি ব্লগ থাকা আবশ্যক যেটিতে কমপক্ষে ২০টি আর্টিকেল বা ব্লগ থাকতেই হবে। এ ব্লগ পোস্টগুলো নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করার পর ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের অনুমোদন পাওয়ার জন্য ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর অনুমোদন পেলে সেখান থেকে সহজেই আয় করতে পারবেন।
পড়ুন –
৩। বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় (Make money selling products on Facebook)
প্রতিনিয়তই মানুষের জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে৷ এ ব্যস্ততার মধ্যে অনলাইন শপিং মানুষের জীবনকে অত্যন্ত সহজ করে তুলেছে। তাই অনেকেই ঝুঁকছেন সম্ভাবনাময় অনলাইন মার্কেটিংয়ের দিকে। যেহেতু ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই চাইলেই ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রেও প্রয়োজন হবে একটি ফেসবুক পেজ। একইসাথে একটি ফেসবুক গ্রুপ থাকলে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে আরো বেশি সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে।
ফেসবুক পেজে যে পণ্যগুলো বিক্রি করতে চান সেগুলোর ছবি তুলে তারপর সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় সে পণ্যের বিবরণ লিখে আপলোড করুন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন পণ্যের ছবির কোয়ালিটি যেনো উন্নতমানের হয়। পাশাপাশি পণ্যের বিবরণগুলো এমনভাবে লিখবেন যেন ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় ৷
বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে ফেসবুক থেকে আয় করতে চাইলে সততা, ধৈর্য্য এবং পরিশ্রম অনেক বেশি প্রয়োজন। কেননা আপনাকে ফেসবুক পেজের মান বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে, ক্রেতাদের হ্যান্ডেল করতে হবে একইসাথে সময়মতো পণ্য ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিয়ে নিজের ক্রেডিবিলিটি বাড়াতে হবে।
তবে এটি নিঃসন্দেহে বলতে পারি, একবার ফেসবুক পেজ ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়ে গেলে আপনাকে সেই ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার জন্য আর পেছন ফিরে তাকাতে হবেনা৷
এগুলোর পাশাপাশি ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করার একটি কার্যকর উপায় হলো পণ্য কেনা-বেচার বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত থাকা৷ বর্তমানে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে যেখানে বিক্রেতারা তাদের পণ্যের ছবি ও বিবরণ পোস্ট করে থাকেন এবং ক্রেতাদের সে পণ্য পছন্দ হলে তারা সেটি কিনতে পারেন৷ তাই এ গ্রুপগুলোতে যুক্ত থেকে চাইলেই নিজের ফেসবুক পেজের পণ্যের বিক্রি বাড়িয়ে আয় করতে পারেন৷
৪। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় (Earn money through Affiliate Marketing)
ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করার সময় স্পনসরড লেখাযুক্ত যে বিজ্ঞাপনগুলো চোখে পড়ে সেগুলোকেই অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভারটাইজিং বলা হয়ে থাকে। এটির মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য প্রথমেই একটি ভালো মানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম খুঁজে বের করে সাইপ আপ করুন।
সাইন আপের পর একটি ইউনিক আইডি পাবেন। পাশাপাশি পাবেন অ্যাডভারটাইজিং করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল। এরপর যত বেশি বিজনেস জেনারেট করতে পারবেন সে সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে কমিশন পেতে থাকবেন।
এক্ষেত্রে প্রতিটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য একটি করে আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রাখুন৷ এতে করে কাউকে বিজ্ঞাপন খুঁজতে ঝামেলা পোহাতে হবে না বরং তার যে পেজের বিজ্ঞাপন পছন্দ সে ওই পেজটিকেই ফলো করতে পারবে ৷
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর জন্য সঠিক প্রোমোশনের কোনো বিকল্প নেই। তাই পেজে নিয়মিত পোস্ট করুন এবং পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন৷ এতে করে দেখবেন ক্রেতারা আপনার দেয়া অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে বেশি বেশি পণ্য কিনবে তাতে করে আয় ও বাড়বে৷
৫। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আয় (make money by doing Freelancing in Facebook)
বর্তমানে ফেসবুককেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একটি ভালো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি।
মূলত ক্লায়েন্টরা এসব গ্রুপে কাজের সুযোগের পোস্ট দিয়ে থাকেন৷ ফ্রিল্যান্সাররা এ পোস্টগুলো দেখে ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করে কাজগুলো পেয়ে থাকেন৷ তাই নিজের কোনো স্কিল থাকলে সে স্কিল সম্পর্কিত ফ্রিল্যান্স কাজ পাওয়া যায় এমন ফেসবুক গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকুন এবং গ্রুপের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। দেখবেন নিজের স্কিল থাকলে খুব দ্রুত এ ফেসবুকের এ গ্রুপগুলো থেকেই কাজের অফার পাবেন এবং আয় করতে পারবেন৷
৬। বিভিন্ন অনলাইন কম্পিটিশনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় (Make money through participating online competition in Facebook)
ফেসবুকে বর্তমানে নানারকম অনলাইন কম্পিটিশনের আয়োজন হয়ে থাকে। মূলত বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের পণ্য এবং সেরার মার্কেটিং করার জন্য কয়েকদিন পর পর এ কম্পিটিশনগুলোর আয়োজন করে থাকে৷ এসব কম্পিটিশন বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।
যেমনঃ বিজনেস কেস কম্পিটিশন, ইনোভেটিভ বিজনেস আইডিয়া দেয়ার কম্পিটিশন, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট কম্পিটিশন, রাইটিং কম্পিটিশন ইত্যাদি। এসব কম্পিটিশনে জিততে পারলে পুরস্কার হিসেবে থাকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
অনেক সময় এ কম্পিটিশনের বিজয়ীদের সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্টার্নশিপ কিংবা চাকুরির সুযোগও দেয়া হয়ে থাকে। এ কম্পিটিশনগুলোর প্রচারণা ফেসবুকেই চালানো হয়। তাই চাইলে নিজের স্কিল অনুযায়ী এ কম্পিটিশনগুলোতে অংশ নিতে পারেন এবং আয় করতে পারেন।
পরিশেষে বলতে পারি, এগুলোই হলো ফেসবুক থেকে আয় করার সর্বাপেক্ষা কার্যকর কিছু উপায় যেগুলোর প্রতিটি সঠিকভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব৷ পাশাপাশি এটিও মাথায় রাখতে হবে যে সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই।
প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির বদৌলতে ফেসবুকের মাধ্যমে বাড়িতে বসে মোটা অংকের টাকা আয় করার সুযোগ থাকলেও পরিশ্রম এবং ধৈর্য্য ব্যতীত কখনোই সাফল্যের দেখা পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই যারা ফেসবুক ব্যবহার করে আর্থিক সাফল্যের স্বাদ পেতে চান তারা সবসময় নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকুন এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট থেকে এগিয়ে যান।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন-