প্যাসিভ ইনকাম কি? ৭টি দুর্দান্ত প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া

প্যাসিভ ইনকাম হলো সেই সব ইনকাম যেসব ইনকাম করতে সবসময় কাজ করতে হয় না। কোনো একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ করার পর পরবর্তীতে খুবই স্বল্প পরিমাণ শ্রম দিয়েও বা তেমন আর কোনো কাজ না করলেও টাকা আসতে থাকে।

প্যাসিভ (নিষ্ক্রিয়) ইনকাম ও আমরা সচরাচর যে ধরণের ইনকাম করে থাকি অর্থাৎ এক্টিভ (সক্রিয়) ইনকাম, এই দুইটি হলো ইনকামের দুইটি প্রধান শাখা। আপনি যেভাবেই ইনকাম করুন না কেনো, হয় সেটা হবে এক্টিভ ইনকাম, না হয় সেটা প্যাসিভ ইনকাম; এই দুইটা ক্যাটাগরির মধ্যেই পড়বে।

এক্টিভ ইনকাম অর্থাৎ আমরা সচারাচর যে ধরণের ইনকাম দেখে থাকি সেটা করতে আমাদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কাজ করতে হয়। আপনি বেতনভিত্তিক বা ঘন্টা হিসাব করে যেভাবেই ইনকাম করুন না কেনো আপনাকে অবশ্যই প্রতিবার নিজস্ব সময় ও শ্রম দিতে হবে। তাহলেই আপনার ইনকাম হবে।

অপরদিকে, প্যাসিভ ইনকামে মূল কাজটা করে ফেলার পর আপনাকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে না। আপনি যদি ঘুমিয়েও থাকেন তবুও ইনকাম হতে থাকবে।

আশা করি, প্যাসিভ ইনকাম ধারণাটি সম্পর্কে পুরোপুরি ক্লিয়ার হতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক প্যাসিভ ইনকাম কেনো করবেন। অর্থাৎ-

প্যাসিভ ইনকামের গুরুত্ব


০১। প্যাসিভ ইনকাম আপনাকে স্বাধীনতা দিবে

প্যাসিভ ইনকাম করলে আপনাকে প্রতিদিন রুটিন মেনে অফিসে যেতে হবে না। বা, সময়মতো ক্লায়েন্টের কাজ করে দিতে হবে না। এটি আপনাকে আপনার সময় ও কাজের স্বাধীনতা দিবে।

প্যাসিভ ইনকাম করলে আপনাকে গতানুগতিক চাকরি, ব্যবসা বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। আপনি আপনার সময়কে ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করার স্বাধীনতা পাবেন।

০২। প্যাসিভ ইনকাম আপনাকে মানসিক চাপ ও ভবিষ্যৎ উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত রাখবে

আমাদের জীবন ভীষণ অনিশ্চিত। কার জীবনে কখন কি ঘটবে তার বিন্দুমাত্র নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। উপরওয়ালা না করুক, আপনি যদি কখনো চাকরিচ্যুত হয়ে যান বা কোনো একটি দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যান, তাহলে আপনার পরিবারের কি হবে? কিভাবে টিকে থাকবেন বা আপনার অনাগত ভবিষ্যতেরই বা কি হবে? কখনো ভেবেছেন কি? হ্যাঁ, অনেকের হয়তো সেভিংস থাকতে পারে। তবে এই মুদ্রাস্ফীতির যুগে সেভিংস দিয়ে কতোদূরই বা যাবেন?

কাজেই কোনো বড় দুর্ঘটনা বা বৈশ্বিক সংকট, পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো, আপনার যদি একটি বা একাধিক প্যাসিভ ইনকামের পথ থাকে তাহলে আপনাকে ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হবে না। এবং, অন্যদের তুলনায় আপনি অনেক বেশি চাপমুক্ত থাকবেন ।

০৩। প্যাসিভ ইনকাম আপনাকে পছন্দনুযায়ী স্থানে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ দিবে

প্যাসিভ ইনকাম কোনো একটি ভৌগলিক স্থানকেন্দ্রিক না হওয়ায় আপনি আপনার স্বাচ্ছন্দমতো যেকোনো স্থানে বসবাস করার সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে যাদের ট্রাভেলিং এর সখ তাদের জন্য এক বা একাধিক প্যাসিভ ইনকামের পথ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ গতানুগতিক চাকরী বা সক্রিয় ইনকামের ওপর নির্ভর থাকলে আপনি কখনোই পরিপূর্ণভাবে সবকিছু এক্সপ্লোর করতে পারবেন না। কাজেই আপনার যদি প্যাসিভ ইনকামের পথ থাকে, তাহলে আপনি আপনার স্বাচ্ছন্দের স্থানে থাকা ও পছন্দের কাজ করার সুযোগ পাবেন।

০৪। প্যাসিভ ইনকাম আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্তভাবে রিটায়ারমেন্টে যেতে সহায়তা করবে

রিটায়ারমেন্ট বা অবসরের কথা উঠলেই অনেকের ছেলেমেয়ে বা সেভিংসের ওপর নির্ভর করার বিষয়টি মাথায় আসে। তবে আত্নমর্যাদার সাথে বেঁচে থাকতে কে না চায়? কিন্তু রিটায়ারমেন্টে গেলে যখন আমাদের অন্যদের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় তখন সেটা মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার পরিপন্থিই বটে! এবং, কোনো না কোনো পর্যায় মর্যাদাবোধে আঘাত হানেই। তখন অনেকেই কপাল চাপড়ায় এই ভেবে যে, আয়ের অন্য পথ থাকলে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হতো না।

তাই আপনার যদি প্যাসিভ ইনকামের পথ থাকে তাহলে শেষ বয়সে এসে আপনাকে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না। দুশ্চিন্তামুক্তভাবে আপনি রিটায়ারমেন্টে যেতে পারবেন।

আপনার চাকরি ও কাজ করার সক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক সব অবস্থাতেই প্যাসিভ ইনকাম আপনাকে একটা আলাদা রকমের কম্ফোর্ট দিবে। এটা সত্যি যে,প্যাসিভ ইনকাম করে আপনি রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন না।

তার আগে আপনাকে আপনার জন্য সঠিক প্যাসিভ ইনকাম ঠিক করতে হবে। সেটার পেছনে নির্দিষ্ট পরিমান শ্রম দিতে হবে, তবেই আপনি তার ফল ভোগ করতে পারবেন।

নিচে দুর্দান্ত কিছু প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া দেওয়া হলো। এখান থেকে পছন্দমতো যে কোনো এক বা একাধিক আইডিয়া কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার আর্থিক অবস্থা উন্নত করতে পারবেন।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-

৭টি দুর্দান্ত প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া


১। ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ করে প্যাসিভ ইনকাম

ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ প্যাসিভ ইনকাম করার অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপায়। আপনি বিভিন্ন জায়গায় ইনভেস্ট করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ- স্টক মার্কেট, বিজনেস, রিয়েল ইস্টেট, ইত্যাদিতে ইনভেস্ট করে।

তবে ইনভেস্ট করার আগে পারসোনাল ফাইন্যান্স এর বেসিক কিছু শিখে নিতে পারেন। সাথে ইনভেস্ট রিলেটেড বিভিন্ন বই পড়তে পারেন। যেমনঃ- দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর, দ্য লিটল বুক অফ কমন সেন্স ইনভেস্টিং,আই উইল টিচ ইউ টু বি রিচ ইত্যাদি।

ইনভেস্টমেন্ট থেকে খুবই ভালো পরিমাণ ইনকাম পাওয়া সম্ভব। তবে নিজে ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে ধারণা রেখে তারপর ইনভেস্ট করাই শ্রেয়। বিজনেস বা রিয়েল ইস্ট্যাটে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই ইনভেস্টমেন্ট এডভাইসরদের সাথে আলোচনা করে ইনভেস্ট করবেন।

তবে আপনার যদি পর্যাপ্ত সেভিংস ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকে এবং ইনভেস্টের টাকা অনেক বেশি রিটার্ন পেতে চান তাহলে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করতে পারেন।

২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনার যদি অনলাইন বিষয়ক ভালো ধারণা থাকে এবং কোনো কিছুকে অতিরঞ্জিত করার দক্ষতা অর্থাৎ প্রোমট করার দক্ষতা থাকে তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অর্থাৎ অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে কমিশন পেতে পারেন। এভাবে মাস শেষে বেশ ভালো পরিমাণ প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য, নিজের ব্লগ সাইট বা ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রামে ভালো ফ্যান ফলোয়ার থাকতে হয় অথবা নিজের পেইজ বা গ্রুপে অনেক বেশি মেম্বার থাকতে হয়। এভাবে মাঝেমাঝে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে পোস্ট করলে আর কিছু করতে হয় না।

১৫ দিন বা ৩০ দিন পরপর কমিশনের টাকা একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিছু জনপ্রিয় সাইট হলোঃ- অ্যামাজন, দারাজ, ১০ মিনিট স্কুল ও হাল্কেইনস্টাইন ইত্যাদি অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম।

৩। ইউটিউবিং করে প্যাসিভ ইনকাম

ইদানিং মানুষ ইউটিউবিং এর দিকে ঝুঁকছে। কারন একবার ইফোর্ট দিয়ে চ্যানেল দাড় করাতে পারলে ও নিয়মিত ভিডিও দিতে পারলে এখান থেকে বেশ ভালো পরিমান ইনকাম সম্ভব।

ইউটিউব থেকে অনেকভাবে ইনকাম করা যায়। যেমনঃ- এড রিভিনিউ , পেইড রিভিউ, স্পনসরশিপ , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি থেকে। তাই ইউটিউবিং প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম একটি মাধ্যম।

আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা থাকে এবং অন্যকে সে বিষয় শেখানো ও জানানোর আগ্রহ থাকে তাহলে ইউটিউবিং হতে পারে আপনার জন্য নির্ভরযোগ্য একটি প্যাসিভ ইনকামের উৎস।

ইউটিউবিং ভীষণ জনপ্রিয় হওয়ায় এক্ষেত্রে মানুষ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এর সম্ভবনার পরিমাণও। আপনি যদি কোনো বিষয় দক্ষ হয়ে থাকেন এবং নিয়মিত ভিডিও মেকিং এ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাহলে এক্ষেত্রে সম্ভাবনার হার অনেকবেশি। কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে আগ্রহ থাকলে ইউটিউবিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

৪। ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম

লেখালেখির প্যাশন থাকলে বেশ ভালো অংকের প্যাসিভ ইনকাম করার আর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে- ব্লগিং করে আয়। আর যদি লেখালেখির প্যাশন নাও থাকে তাহলে অন্যদের দিয়ে মানসম্মত লেখা লেখিয়ে নিতে পারেন। এতে সাময়িক কিছু খরচ হলেও স্থায়ী লাভ আপনারই হবে।

হ্যাঁ, ব্লগিং করে আপনি রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন না। এর পেছনে যথেষ্ট শ্রম দিতে হবে আগে। এরপর, মানসম্মত একটি ব্লগসাইট তৈরি হয়ে গেলে, লেখার মান ভালো হলে, সাইটে কাঙ্ক্ষিত ভিজিটর আসবে।

তারপর, আপনি বিভিন্নভাবে আপনার ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগ থেকে ইনকাম করার দুটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছেঃ- বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম।

আপনি যদি পর্যায়ক্রমে মানসম্মত লেখা পাঠকদের দিতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগসাইটে ভিজিটর বাড়তে থাকবে। আর, ভিজিটর বেশি হলে, বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনার চাহিদাও ততো বেশি থাকবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোনো প্রোডাক্ট সাজেস্ট করে কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে লেখার সাথে সে প্রোডাক্টের লিংক যুক্ত করে দেওয়া। লেখার মান ভালো হলে পাঠকরা প্রভাবিত হবে। এবং, সেই লিংক থেকে প্রোডাক্ট কিনলে আপনি কিছু কমিশন পাবেন। এভাবে ব্লগিং করে আপনি বেশ স্টেবল একটা ইনকাম পেতে পারেন।

৫। ছবি বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনার যদি ছবি তোলার প্যাশন থাকে এবং আপনার ছবি যদি দর্শকের নজর কাড়তে সক্ষম হয় তাহলে শুধুমাত্র ছবি বিক্রি করেও আপনি হাজার হাজার, এমনকি লাখ লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে অসংখ্য ছবি বিক্রির সাইট রয়েছে; যারা আপনার মানসম্মত ছবির জন্য বেশ ভালো অংকের টাকা দিতে প্রস্তুত।

ছবি তুলতে যেহেতু সাময়িক শ্রম দিতে হয় এবং সেটা আপনার স্থায়ী সম্পদ হতে পারে। কারন, ছবির মান ভালো হলে বিক্রিত ছবি থেকে মাসে মাসে টাকা আসতে থাকে। তাই ছবি বিক্রি করে খুব সহজেই আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

ছবি বিক্রি করে ইনকাম জন্য জনপ্রিয় কিছু সাইট হলোঃ- shutterstock, adobe stock, foap, alamy, stocksy, getty images, 500px, dreamstime, smugmug pro, EyeEm ইত্যাদি। এছাড়াও আপনার সোশাল সাইটে যদি ভালো পরিমাণ ফ্যান-ফলোয়ার থাকে তাহলে তাদের কাছে ছবি বিক্রি করেও আয় করতে পারেন।

৬। বই লিখে প্যাসিভ ইনকাম

আপনার লেখার হাত যদি ভালো হয় তাহলে বই লিখে প্যাসিভ ইনকাম করা হতে পারে আপনার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সিদ্ধান্ত। একটি ভালো মানের বই লিখতে কয়েক মাস এমনকি বছরও লাগতে পারে।

তবে একবার লেখতে পারলে বেশ ভালো পরিমাণ ইনকাম সম্ভব। বই পাঠকের কাছে যতো বেশি সমাদৃত হবে ততো বেশি আপনার ইনকামও হবে। আপনার যদি লেখালেখির পূর্ব অভিজ্ঞতা নাও থাকে তাহলেও আপনি বই লিখে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

সে জন্য অবশ্যই আপনাকে যেকোনো একটি বিষয় পারদর্শি হতে হবে। আপনার পারদর্শিতার বিষয়ে বই লিখে খুব সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে- নিজের বই লেখার আগে এই ক্ষেত্রটি নিয়ে ভালোভাবে রিসার্চ করা ও দক্ষ লেখকদের থেকে মতামত নিয়ে কাজে লেগে পরা।

অনেকের কাছে বইয়ের হার্ড কপি বের করা ঝামেলার মনে হয়। বাস্তবিক অর্থে নতুনদের জন্য হার্ড কপি বের করা একটু ঝামেলাই বটে। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রথমে সফট কপি বা ই-বুক বের করতে পারেন। এতে তেমন ঝামেলা নেই।

বই যদি মানসম্মত হয় আর মার্কেটিং যদি ভালোভাবে করতে পারেন, তাহলে ইনকামের নতুন এক দ্বার উন্মোচিত হবে আপনার জন্য।

৭। কোর্স বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনার পারদর্শিতার বিষয়ে একটি কোর্স বানিয়ে সেটি অনলাইনে বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই। আপনার যদি ভালো ফ্যান-ফলোয়ার থেকে থাকে তাহলে এই আইডিয়াটি হতে পারে আপনার জন্য গেইম চেঞ্জিং।

ফ্যান বা ফলোয়ারদের কাছে কোর্স বিক্রি করতে তেমন একটা বেগ পেতে হবে না। কারণ আপনি আগে থেকেই তাদের কাছে সমাদৃত। তবে কোর্সের কোয়ালিটি অবশ্যই ম্যাটার করবে।

আর যদি আপনার ফ্যান-ফলোয়ার না থেকে থাকে তাহলেও আপনার নিজস্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে কোন বিষয় নির্বাচন করে কোর্স তৈরি করা উচিত।

কারণ, মানসম্মত কোর্স হলে সাথে মার্কেটিং ভালো হলে, এই কোর্স দিয়েই মানুষ আপনাকে চিনবে। আপনার নতুন ফ্যান ফলোয়ারও তৈরি হবে। হ্যাঁ, এখানেও কোয়ালিটি ম্যাটার করবে। সাথে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স, মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজি, কোর্সের মূল্য ইত্যাদিও অত্যাধিক ম্যাটার করবে।

প্যাসিভ ইনকামের এই অসাধারণ আইডিয়াগুলো কাজে লাগিয়ে আশা করছি আপনি আপনার ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি আরো একধাপ উপরে তুলতে পারবেন।

Leave a Comment