আপনি যদি চাকরির সন্ধানে থাকেন তাহলে চাকরি খোঁজার সহজ উপায় গুলো এখনই জেনে নেওয়া দরকার। কারন চাকরি পাওয়া যতটা কঠিন চাকরি খোঁজাটাও কিন্তু ততটাই কঠিন। আর কোথায় গেলে কোন চাকরি পাবেন, কখন আবেদন করবেন, কিভাবে করবেন? এসব প্রশ্ন তো থাকছেই।
দিন যত যাচ্ছে চাকরি পাওয়া তত মুশকিল হচ্ছে। তার ওপর করোনা সংকটের পরে মনের মত চাকরি পাওয়া আর সোনার হরিণ হাতে পাওয়া একই কথা৷ কম্পিটিশন তো কমছেই না বরং দিন দিন আরো বাড়ছে। প্রার্থীর তুলনায় কমে গেছে চাকুরির খাত। মোট কথা পারিবারিক চাপ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় চাকরী সন্ধানীরা আছেন চরম হতাশায়।
তবে এই হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যেই কিন্তু আপনাকে খুঁজে নিতে হবে আপনার যোগ্য কাজটি। তাই সঠিক একটি নির্দেশনা ফলো করুন। তাহলে চাকরি পাওয়ার আগেই আপনাকে এত বিভ্রান্ত হতে হবে না।
আপনার পথের সঙ্গী হতে আজ আমরা চাকরি খোঁজার সহজ উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানাবো ইনশাআল্লাহ্।
চাকরি খোঁজার সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত সবকিছু!
১. আপনার কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী চাকরি খুঁজুন
হরেক রকম চাকরির বিজ্ঞাপনে হারিয়ে যাবেন না। অবশ্যই আপনার কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী চাকরি খুঁজুন। অর্থাৎ, আপনার একাডেমিক ব্যকগ্রাউন্ড অনুসারী জব সন্ধান করুন। একটি ভুল অনেকেই করে যে, যাচাই বাছাই না করেই চাকরির আবেদন করে। পরবর্তীতে রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল না করতে পারায় জব ও পাওয়া হয় না। শুধু আত্মবিশ্বাসটাই কমে।
হতে পারে আপনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। আপনি অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে জব খুঁজবেন। বা আপনার পড়াশোনার বিষয় ছিল কৃষি। আপনি এগ্রো ফার্ম, রিসার্চ সেন্টার কিংবা এগ্রিকালচার রিলেটেড জব খুঁজবেন।
সব থেকে ভাল হয় যদি একাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি এক্সট্রা স্কিল অর্জন করেন। তাহলে আপনি আপনার পড়াশুনার ফিল্ডের বাইরেও নানা ধরনের কাজে এপ্লাই করতে পারবেন। আপনার সিভি ও আরো আকর্ষণীয় হবে।
২. নির্ধারিত সেক্টরের চাকরির খোঁজখবর রাখুন
একবার আপনার নির্দিষ্ট সেক্টর নির্ধারণ করে নিন। যেসব জায়গায় আপনি কাজ করতে আগ্রহী শুধুমাত্র সেই সব সেক্টরের চাকরির খোঁজ রাখুন। চাকরির আবেদনের ডেট, নিয়ম, যোগ্যতা, সেই চাকরির পরীক্ষার জন্য কি ধরনের পড়াশোনা দরকার। এসবই থাকতে হবে আপনার নখদর্পনে।
ধরুন, আপনি সফটওয়্যারকোম্পানি তে জব করতে চান৷ তাহলে অবশ্যই প্রসিদ্ধ সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর নিয়োগ সম্পর্কিত সব রকম তথ্যের খোঁজ খবর রাখবেন। কখন কি নতুন আপডেট আসছে অবশ্যই লক্ষ করবেন।
নিয়োগ পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন হয়, ভাইবা কেমন হয়; খোঁজ নিবেন। পাশাপাশি সেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবেন। এভাবে লক্ষ স্থির থাকলে চাকরির খোঁজ করা এবং চাকরি পাওয়া দুটোই আপনার জন্য কম কষ্টকর হবে।
৩. নতুন নতুন স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে থাকুন
আপনি যেহেতু একজন চাকরি সন্ধানী, চাকরি পাওয়া কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে তা আপনি ভাল করেই জানেন। এমন দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার সময়ে শুধু মাত্র একাডেমিক সার্টিফিকেট দিয়ে কাজ পাওয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে অনেক কোম্পানি বা সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা স্কিল এর সন্ধান করে।
আপনি হয়ত আপনার পড়াশোনার ফিল্ডের জবেই আবেদন করলেন। কিন্তু দেখা গেল প্রতিষ্ঠানটি অন্য যোগ্যতার সাথে বেসিক কম্পিউটার নলেজ বা এক্সেল, মাইক্রোসফ্ট অফিসের দক্ষতাও চেয়ে বসল।
আপনার যদি এই টেকনোলজি স্কিল টুকু না থাকে তখন? আপনি আপনার নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যেও একটি জব হারিয়ে ফেলবেন। তাই আমার মতে চাকরীর খোঁজ যখন করছেনই তখন পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর কোনো বিকল্প নেই।
৪. অভিজ্ঞতা বাড়াতে পার্টটাইম, ফ্রিল্যান্সিং ও কন্ট্রাকে কাজ করুন
এমন অনেকেই আছে যারা বছরের পর বছর চাকরি খুজেই যাচ্ছেন৷ চাকরি না পাওয়ার হতাশা জেঁকে বসছে। তার একটাই কারণ, প্রতিষ্ঠানের চাই অভিজ্ঞ প্রার্থী। কাজ শুরু করার আগেই অভিজ্ঞতা চেয়ে বসে কোম্পানি।
এ নিয়ে চাকুরী প্রার্থীদের ক্ষোভ ও দ্বন্দ্বের শেষ নেই। কিন্তু যেখানে একটি পোস্টের জন্য শত-শত আবেদনকারী আসে। সেখানে প্রতিষ্ঠান অবশ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোককেই যোগ্য মনে করবে।
তাই আপনার কাজ হবে এসব বিভ্রান্তি এড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মত নিজেকে তৈরি করা। অর্থাৎ অভিজ্ঞতা বাড়ানো। কিভাবে বাড়াবেন? চাইলে ছাত্র জীবনেই বাড়াতে পারেন কাজের অভিজ্ঞতা।
ছাত্রজীবনেই কাজের এক্সপেরিয়েন্স বা অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র সমৃদ্ধ করার জন্য পার্ট টাইম, ফ্রিল্যান্সিং জব এর মত উপযুক্ত আর কোনোটিই নয়। তাই আপনি স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় বা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার অবস্থায়ই অন্য কোনো রিমোট জবে অংশ নিন। তাহলে চাকরির সিভিতে আপনার অভিজ্ঞতার ছকটি আর খালি থাকবে না।
আরও পড়ুন-
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়ার দূর্দান্ত ৪টি কৌশল
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
- ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে লম্বা হওয়ার সহজ উপায়
৫. কোয়ালিফাইড সিভি তৈরি করুন
এবার আসি চাকরি খোঁজার সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে। আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য আবেদন করলেন। তারা কিভাবে বুঝবেন আপনি এই কাজের জন্য যোগ্য কিনা? কিসের ভিত্তিতে আপনাকে ভাইবা বোর্ড আাসার সুযোগ দেবে?
অবশ্যই আপনার জীবনবৃত্তান্ত দেখে। অর্থাৎ আপনার একাডেমিক ব্যকগ্রাউন্ড, রেসাল্ট, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এসবই যাচাই হবে আপনার সিভি দিয়ে।
তাই চাকরি খোঁজার সহজ উপায় হল সুন্দর একটি সিভি তৈরি করা। যাতে আপনার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান আপনাকে কাজে রাখতে আগ্রহী হবে।
চলুন সংক্ষেপে আপনাকে সিভি তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি ধারনা দেই।
কিভাবে একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করবেন?
- সিভির শুরুতেই থাকবে আপনার নাম। পরিচয় ও যোগাযোগের ঠিকানা। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নাম ব্যবহার করবেন। নিক নেম তুলে দেয়া বা নামের বানান ভুল করা এসব এভয়েড করবেন।
- অবশ্যই ঠিকানা ও যোগাযোগের জন্য সঠিক ইনফরমেশন দিবেন। আর ফরমাল কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ভ্যালিড ই-মেইল আইডি যুক্ত করবেন।
- লিঙ্কডইন, টুইটার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা আপনাকে পজিটিভভাবে রিপ্রেজেন্ট করবে এমন একাউন্ট যুক্ত করে দিবেন।
- অবশ্যই ফরমাল ছবি এড করে দিবেন।
- মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি আপনার কাজের লক্ষ্য সিভিতে সুন্দর করে উল্লেখ করবেন। কেন কাজটি করতে আপনি আগ্রহী? কেন আপনাকে কাজটি দেয়া হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করবেন।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সিভিতে সুন্দর করে তুলে ধরবেন। কোন অনুষদে, কত সনে, কি রেজাল্ট নিয়ে পাশ করেছেন সব তথ্য ইনক্লুড করবেন।
- আপনার যদি কোনো একাডেমিক পাবলিকেশন থাকে তাহলে সেটি সিভিতে এডড করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে রিসার্চ জনিত কাজের ক্ষেত্রে আপনার একাডেমিক পারফর্মেন্সের পাশাপাশি রিসার্চ এবিলিটি ও শো করবেন।
- পেশাগত কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে সেটি যুক্ত করবেন৷ ভাল হয় পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে যদি প্রশংসাপত্র কালেক্ট করতে পারেন।
- সেচ্ছাসেবা মূলক কাজ, এক্সট্রা কারিকুলাম কাজের অভিজ্ঞতা, আগ্রহ থাকলে সেগুলো তুলে ধরবেন।
- ভাষা দক্ষতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটি সিভিতে উল্লেখ না করলেই নয়। অবশ্যই ইংরেজি ও বাংলায় ভাল দক্ষতার কথা যুক্ত করবেন। পাশাপাশি অন্য ভাষায় দক্ষতা থাকলে আরো বেটার।
- ডিজিটাল যুগে টেকনলোজি দক্ষতার ডিমান্ড খুব বেশি। তাই আপনার যদি বেসিক কম্পিউটার থেকে শুরু করে এক্সেল, মাইক্রোসফট অফিস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং নিয়ে দক্ষতা থাকে সেগুলো অবশ্যই এডড করবেন।
- সবশেষে আসে রেফারেন্স। অবশ্যই এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির রেফারেন্স যুক্ত করবেন যে আপনার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে ধারনা রাখে। সদ্য গ্রাজুয়েট রা চাইলে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের রেফারেন্স নিতে পারেন।
৬. অনলাইনে চাকরির খোঁজ করুন
সারাদিন নানা কাজে বা কারনে অকারণে অনলাইনে আসাই হয়৷ তাই এই সময়টুকু ও নষ্ট না করে চাকরির খোঁজ খবর রাখার ট্রাই করুন। অনলাইনে এখন অনেক নিউজ পোর্টাল আছে যেগুলো নিয়মিত চাকরির আপডেট দেয়।
এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট আছে শুধু মাত্র চাকরির নিউজ দেয়ার জন্য। এমনকি ফেসবুকে অনেক পেজ বা গ্রুপেও চাকরির খবর পাওয়া যায়।
চাকরি খোঁজার সেরা কিছু ওয়েবসাইট হল
- Chakri.com
- Bdjobs.com
- Skill.jobs
- Kormo.google.com
- Bangladesh Public Service Commission Website (http://www.bpsc.gov.bd/)
- Rutiruji.com
- Bdjobstoday.com
- Glassdoor.com
- Google Search
৭. অফলাইনে চাকরির খোঁজ রাখুন
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে শুধু অনলাইন এই সীমাবদ্ধ থাকবেন না। অনলাইনের পাশাপাশি খোঁজ রাখতে হবে অফলাইনেও। আরো ভাল হয় যদি আপনি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সম্পর্কে খোঁজ রাখেন। কি ধরনের কর্মীরা ওখানে কাজ করেন। কারা বেশি প্রাধান্য পান। এমনকি প্রতিষ্ঠানের কোনো চাকুরীজীবির সাথে যোগাযোগ থাকলে অবশ্যই চাকরি সম্পর্কিত টিপস নিতে ভুলবেন না।
৮. চাকরি খুঁজতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া এখন একটি বড় ভুমিকা পালন করে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ফেসবুকে পেজ এ চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। সেগুলোতে কিন্তু সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই এপ্লাই করা যায়।
তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন গ্রুপ, পেজ ও ব্যক্তির সাথে যুক্ত হবার ট্রাই করুন যেসব সেক্টরে আপনার কাজের দক্ষতা আছে।
এরপর আপনার কাজের পারদর্শিতা, আপনার ছোট বড় অর্জন আপনার একাউন্টে এডড করতে পারেন। এতে করে চাকরির আপনার কাছে নিজেই আসতে পারে। তাই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে নিজের প্রোমোশন করতে পারেন। এতে চাকরি খোঁজা কিছুটা সহজ হবে।
৯. চাকরির খোঁজে LinkedIn একাউন্ট রাখুন
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে লিঙ্কডইন এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। হাজারো মানুষ এখানে তাদের ফরমাল একাউন্ট খুলছেন। এবং কাজের সন্ধান করছেন। এখানে আপনি আপনাট নিজের ছোট বড় সব রকম দক্ষতা, সফ্ট স্কিল, কোয়ালিফিকেশন তুলে ধরবেন।
আপনার এচিভমেন্ট গুলোকে হাইলাইট করবেন। ফ্রিল্যান্সিং জব যারা করে থাকেব কাজ পাবার জন্য লিঙ্কডইন একাউন্ট অবশ্যই রাখেন।
শুধুমাত্র লিংকডইন থেকেও কিন্তু কাজের অফার পাওয়া যায়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো এখানে পাবলিশ করে। কিংবা অনেক ক্লায়েন্ট থাকে যারা কাজের জন্য এখানে লোক সন্ধান করে। তাই আপনি যদি সুন্দর করে আপনার লিংকড-ইনের প্রোফাইল টি সাজাতে পারেন তাহলে এখান থেকেও কাজ পেতে পারেন।
১০. রেফারেন্স এর সন্ধান করুন
চাকুরির ক্ষেত্রে রেফারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সিভিতে যদি যথাযথ রেফারেন্স এডড করতে পারেন তাহলে আপনার সিভিটি অন্যদের তুলনায় একটু হাইলাইট থাকবে। তাই চাকরি খোজার পাশাপাশি কার কাছ থেকে, কিভাবে রেফারেন্স আনা যায় সেই চেষ্টা করুন।
এমনকি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রেের লোকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন যারা আপনাকে নিয়মিত চাকরির আপডেট দিতে সক্ষম।
চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকার উপায়
শিরোনাম দেখেই আগ্রহী হবেন না
চাকরির জন্য আবেদন করার আগে বিজ্ঞাপন টি ভালভাবে যাচাই বাছাই করেই এপ্লাই করুন৷ কারণ হরেক রকম চাকরির খবরের ভীরে নানা অসাধু প্রতিষ্ঠানও বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তাই এপ্লাই করে টাকা নষ্ট করার আগে যাচাই করে নিন।
লক্ষ ঠিক রাখুন
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে ধৈর্য্য রাখুন ও লক্ষ ঠিক রাখুন। কাঙ্খিত সেক্টরে জব না পেয়ে হতাশ না হয়ে লেগে থাকুন। প্রয়োজনে আদার্স স্কিল অর্জন করুন।
আকর্ষণীয় কভার লেটার
চাকুরির আবেদনে, সিভিতে আকর্ষণীয় কভার লেটার ব্যবহার করুন; যাতে আপনার ওপরে প্রতিষ্ঠানটির ফার্স্ট ইম্প্রেশন ভাল হয়।
পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে থাকুন
শুধুমাত্র একটার পর একটা চাকরির খোঁজ করলেই হবে না। পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন পুরো দমে।
ইন্টারভিউতে ভয় কমান
সিভির পাশাপাশি চাকরির ইন্টারভিউ কিন্তু খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিভিতে একটু উনিশ বিশ থাকলেও ইন্টারভিউতে আপনার দক্ষতা, কনফিডেন্স, চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই ইন্টারভিউ ভাল করার প্রিপারেশন নিন।
চাকরি পাওয়া কখনোই সহজ বিষয় ছিল না। তাই অল্প চেষ্টায় চাকরি পাওয়া শুধু ভাগ্যর ব্যাপার। অসংখ্য প্রার্থীর ভীরে চাকরি পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। আপনি যদি এই কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে চান তাহলে শুরুতেই আপনাকে স্মার্টলি আগাতে হবে।
চাকরির বাজারে আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতেই চাকরি খোঁজার সহজ উপায় গুলো আপনার সামনে তুলে ধরেছি। আসা করি এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে আগালে আপনার জন্য চাকরি খোঁজা ও চাকরি পাওয়া দুটোই সহজ হবে।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে দেখতে পারেন-