আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গের মাঝে কিডনি অন্যতম। আমাদের শরীরের রক্ত ছেঁকে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় এই কিডনি। যার ফলে আমরা সব কাজ সঠিকভাবে করতে পারি। কিন্তু যদি আমাদের কিডনি অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে কি আমরা সব কিছু ঠিকভাবে করতে পারবো?
কিডনির সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, ৮০% কিডনি নষ্ট হয়ে গেলেও অনেক সময় বোঝা যায় না যে আমাদের দুটো কিডনিতে কোনো সমস্যা আছে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ আমাদের কিডনির যত্ন নেয়া।
আজকে আমরা আমাদের কিডনি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানবো এবং কিভাবে আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারি, তা জানতে পারবো।
কিডনির অবস্থান আমাদের বুকের পাজরের নিচে, মেরুদন্ডের পাশে। এই কিডনি দুটো হচ্ছে শীমের বিচির মত দেখতে অনেকটা, যা কিনা আমাদের শরীরের রক্তকে পরিশোধিত করে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, কিভাবে কিডনি আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে থাকে।
মূলত, কিডনি বর্জ্য পদার্থকে ফিল্টার করে, অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বের করে দেয়।
আবার প্রয়োজনের সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়াও আটকাতে পারে।
বর্জ্য পদার্থগুলো আমাদের মূত্র থলিতে জমা হয়, এবং যা আমরা এরপর আমাদের শরীর থেকে বের করে দেই।
এছাড়াও বলতে হবে যে, কিডনি আমাদের শরীরের পিএইচ নিয়ন্ত্রন করে, বিভিন্ন খনিজ লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক হরমোনও কিডনি নিঃসরণ করে।
আমরা জানি, ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে, আমাদের হাড়কে আরো শক্তিশালী করে তুলতে, পেশীকে আরো কর্মক্ষম করে তুলতে ভিটামিন ডি অপরিহার্য।
কিন্তু বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে আমরা ভিটামিন-ডি এর যে উপাদানটি পাই, সেটিকে কার্যক্ষম করে তুলতে আমাদের শরীরকে একটু কাঠখড় পোড়াতে হয়।
কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন-ডি কে কার্যক্ষম করে তুলতে সাহায্য করে কিডনি। সুতরাং কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা আমাদের সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিডনিকে যদি আমরা সুস্থ রাখতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে যাবে, এবং প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি হবার পাশাপাশি শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে।
আজকে আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা কি না আমাদের কিডনীকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে।
১. প্রতিদিন ব্যায়াম করাঃ
প্রতিদিন ব্যায়াম করা শুধুমাত্র কিডনির জন্য নয়, বরং আমাদের পুরো শরীরের জন্যই স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে তা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। ব্যায়াম আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে, হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আর আমরা জানি যে, রক্তচাপ এবং হৃদপিন্ড এর সুস্থতা, উভয়ই আমাদের কিডনির সুস্থতার জন্য জরুরি।
যদিও আপনাকে ব্যায়াম করার জন্য প্রতিদিন ২৬ মাইলের ম্যারাথন দৌঁড়াতে হবে না! শুধুমাত্র নিয়ম করে হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাঁটার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন।
ব্যায়াম করার মূল লক্ষ্যটি হচ্ছে আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখা। তাই এমন কোনো কাজ খুঁজে বের করুন যা কি না আপনাকে আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম করে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে।
২. রক্তে সুগার এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করুনঃ
যে সকল ব্যক্তিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে, যার থেকে কিডনির রোগ হতে পারে।
কারণ যখন আপনার শরীরের কোষগুলো আপনার রক্তে থাকা সব গ্লুকোজ কাজে লাগাতে পারে না, তখন আপনার কিডনিকে রক্ত পরিশোধিত করতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। এবং বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত কাজ করার ফলে একটা সময় পরে কিডনি বিকল হয়ে যায়। যা কি না শেষ পর্যন্ত জীবন-মরণ সমস্যার আকারে দেখা দেয়।
যাই হোক না কেন, যদি আপনি আপনার রক্তে অবস্থান করা সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন, তাহলে তা আপনার কিডনিকে বিকল হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
এমনকি যদি এমন হয় যে আপনার কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে, এবং তা চিকিৎসক শুরুর দিকেই ধরতে পেরেছেন, তাহলে তিনি চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে তুলতে পারবেন অথবা যেন আরো জটিল কোনো রোগ না হয়, সেই দিকে চেষ্টা করতে পারবেন।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ
উচ্চ রক্তচাপ কিডনির সমস্যার অন্যতম বড় একটি কারণ। ডায়েবটিস এর রোগী অথবা হৃদপিন্ডে সমস্যা আছে এমন কোনো ব্যক্তি অথবা যাদের রক্তে হাই কোলেস্টেরল আছে এমন কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে তা শরীরে বিরুপ প্রভাব রাখার পাশাপাশি জীবননাশের কারণ হতে পারে।
আমরা জানি, সুস্থ একজন মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হচ্ছে ১২০/৮০। যদিও আপনার খাওয়া-দাওয়া এবং কিভাবে আপনি চলাফেরা করেন, তার উপর আপনার রক্তচাপ ওঠা নামা করতে পারে।
যদি আপনার রক্তচাপ প্রতিনিয়ত ১৪০/৯০ এর মত থাকে, তাহলে আশঙ্কা করা যায় যে আপনি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। এমন কোনো ধরনের আশঙ্কা দেখা দিলে আপনার অতি দ্রুত চিকিৎসকের সাথে কথা বলা উচিত।
প্রতিনিয়ত নিজের রক্তচাপ মেপে দেখা ও তা নিয়ন্ত্রনের জন্য চেষ্টা করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের জন্য আপনার দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন আপনি। যেমন যা আপনার শরীরের রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে, এমন খাবার না খাওয়া, মেডিটেশন (ধ্যান) করা ইত্যাদি।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন এবং সুস্থ খাদ্যাভাস গড়ে তুলুনঃ
যে সকল মানুষের ওজন বেশি থাকে, তাদের কিডনির রোগ হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। কারণ তাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা কি না শেষ পর্যন্ত কিডনির রোগকে প্রভাবিত করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস আমাদের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাকে খুব সহজেই কমিয়ে ফেলতে পারে।
সোডিয়াম এর পরিমাণ কম আছে, এমন খাবার অথবা নিয়ন্ত্রন করে রাখা মাংস অথবা কিডনির রোগের জন্য দায়ী অন্যান্য খাবার যদি আমরা কম খেতে পারি কিংবা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি, তাহলে আমাদের কিডনির রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন আমরা নিত্য নতুন শাকসবজি খেতে পারি যা কি না প্রাকৃতিক ভাবেই কম সোডিয়াম বহন করে। যেমন- মাছ, ফুলকপি, বাদাম, ইত্যাদি।
৫. প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়াঃ
প্রতিদিন আট গ্লাস করে পানি খাওয়াতে আসলে কোনো জাদু নেই, যে জাদু আপনাকে কিডনির রোগ থেকে দূরে রাখবে। কিন্তু আপনার শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে দূরে রাখতে এই প্রক্রিয়াটি সাহায্য করবে। এবং প্রতিদিন নিয়মিত পানি খাওয়া আপনার কিডনীর জন্যও স্বাস্থ্যকর। কারণ পানি আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি কিডনির দীর্ঘকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকেও আপনার কিডনিকে রক্ষা করতে পারে।
প্রতিদিন আপনার কি পরিমাণ পানি খাওয়া উচিৎ তা নির্ভর করে আপনার খাদ্যাভাস এবং দৈনন্দিন কার্যাবলীর উপর। বিভিন্ন ধরণের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীন কারণ, যেমন- আপনার আশেপাশের পরিবেশ, আপনি ব্যায়াম করছেন কি না, আপনি পুরুষ নাকি নারী, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং এর পাশাপাশি আপনি গর্ভাবস্থায় আছেন কি না, সব কিছুর উপরেই আপনার প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ নির্ভর করে।
কিন্তু সাধারণত গড়ে ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি খাওয়া আপনার জন্য উপাদেয়।
যেসকল ব্যক্তিরা পূর্বে কিডনিতে পাথর হবার অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন, তাদের একটু বেশি পানি পান করা উচিৎ। অতিরিক্ত পানিটুকু তাদের কিডনিতে আবার পাথর হওয়াকে আটকাতে সাহায্য করে।
৬. ধূমপান ত্যাগ করতে হবেঃ
ধূমপানের ফলে আমাদের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়, বিভিন্ন ধরনের অসংগতি দেখা যায়। যার ফলে রক্ত সহজে আমাদের পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না এবং শেষ পর্যন্ত তা আমাদের কিডনিতে প্রভাব ফেলে।
ধূমপান কিডনিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। যদি আপনি ধূমপান ত্যাগ করেন, তাহলে আপনার ক্যান্সার হবার ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
যদিও একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মত হয়ে উঠতে অনেক বছর লেগে যাবে! তবু ইংরেজিতে একটি কথা আছে, Better late than never! তাই ধূমপান করতে থাকার চেয়ে ধূমপান ছেড়ে দিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ভালো।
৭. কী পরিমাণ OTC ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, তা সম্পর্কে সজাগ থাকুনঃ
OTC ওষুধ এর মানে হলো Over The Counter ওষুধ। অর্থাৎ যে ওষুধগুলো খাওয়ার জন্য আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবার প্রয়োজন নেই, ফার্মেসি থেকে কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই আপনি ওষুধগুলো কিনতে পারবেন।
এখানে সমস্যাটা হচ্ছে, আপনি যদি প্রতিনিয়ত OTC ওষুধ খেতে থাকেন, তাহলে আপনার শরীরের জীবাণুগুলো ঐ ওষুধের সাথে অভ্যস্থ হয়ে যাবে। যার ফলে যখন আপনি অসুস্থ হবেন, তখন সেই ওষুধগুলো আর কাজ করবে না। এবং আপনি যদি ফার্মেসির লোকের কথা শুনে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর ‘এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট’ হয়ে যাবে।
অর্থাৎ আর কোনো এন্টিবায়োটিক-ই আপনার শরীরে কাজ করবে না। এবং আপনি ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন।
বর্তমান বিশ্বে এন্টিবায়োড়িক রেজিস্ট্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা আপনারা চাইলে সে বিষয়েও পরবর্তিতে আমরা লিখতে পারি। কিন্তু আজ আমরা কথা বলছি কিডনির সমস্যা নিয়ে, সুতরাং সেখানে ফিরে আসি।
আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন এর মত ওষুধগুলো যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই প্রতিনিয়ত খেতে থাকেন তাহলে তা আপনার কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে এবং মাথাব্যথা, হাড় এর জোড়ায় ব্যথা সহ আরো নানা রোগের সৃষ্টি করবে।
তাই যদি আপনার কিডনি তথাপি পুরো শরীরকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে আপনি OTC ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত চলুন।
৮. কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করুনঃ
আপনার যদি মনে হয় যে আপনি কিডনির রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে আছেন, তাহলে নিয়মিত কিডনির বিভিন্ন পরীক্ষা করতে পারেন। এছাড়াও নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা নিয়মিত কিডনি পরীক্ষার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন-
- যে সকল ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর কিংবা তার উর্ধ্বে।
- যে সকল ব্যক্তিদের জন্মের সময় ওজন স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় কম ছিল।
- যে সকল ব্যক্তির হৃদরোগ আছে অথবা যাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের হৃদরোগ আছে।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে অথবা যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের রোগী আছে।
- যে সকল ব্যক্তিরা স্থুল।
- যে সকল ব্যক্তি মনে করেন যে তাদের কিডনি রোগাক্রান্ত।
নিয়মিত কিডনির বিভিন্ন পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনি আসলেই সুস্থ আছে কি না, এবং তা আপনার সকল ধরণের দুশ্চিন্তা দূর করতে সমর্থ্য হবে। আর যদি আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে অতিরিক্ত কোনো জটিলতা সৃষ্টি রোধ করা যাবে।
শেষকথাঃ
কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদিত হয় কিডনি র মাধ্যমে। শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থকে নিষ্কাশনের যোগ্য করে গড়ে তোলা থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি করা, যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। সুতরাং কিডনি অসুস্থ হলে আমাদের শরীরের অধিকাংশ অঙ্গই বিকল হয়ে যেতে পারে।। তাই কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের আরো সচেষ্ট হওয়া উচিত।
তাই একটি কর্মক্ষম জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। এবং এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারি।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে দেখতে পারেন-