মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস : আপনার সাইটকে মোবাইল বান্ধব করে তুলুন

এই মাত্র কয়েক বছর পূর্বেও “মোবাইল ফ্রেন্ডলি” বা মোবাইল বান্ধব ওয়েবসাইট কথাটি তেমন কোন বিশদ অর্থ বহন করত না। তখন মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট বলতে মানুষ এটুকুই বুঝতেন যে, ওয়েবসাইটটি মোবাইলের স্ক্রীণে দেখা যায়। ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট মোটামুটি সবই মোবাইলের পর্দায় এঁটে যায়। ব্যাস, তাহলেই ধরে নেয়া হত- মোবাইল বান্ধব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা গেছে।

কিন্তু, বর্তমানে এরকমটি প্রযোজ্য হয় না। মোবাইলের ওয়েব ট্রাফিক এত বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে- অনেক ওয়েবমাস্টারই লক্ষ্য করেন, তাদের সাইটের আগমনকারীদের মাঝে শতকরা সত্তর ভাগই বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে সাইট দেখছেন।

কম্পিউটার থেকে সাইটে আসা লোকের সংখ্যা এখন কমই থাকে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের প্রকৃতি অনুযায়ী, নূন্যতম ত্রিশ থেকে সত্তর শতাংশ ওয়েব ট্রাফিকই বর্তমানে মোবাইলের। এবং এই সংখ্যাটি ক্রমশই বাড়ছে।

এর অর্থ, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস এখন আপনার ওয়েবসাইটের একটি বাড়তি সুবিধা মাত্র নয়। বরঞ্চ, শুরু থেকেই আপনার ওয়েবসাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেসের ভিত্তিতেই গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যতে এমন দিন আসতে পারে, যখন আপনার ব্যবসার অধিকাংশ কাজ এবং অনলাইন অস্তিত্বে মোবাইল ডিভাইসই হবে প্রধান অবলম্বন।

প্রতিটি পেজ এবং কন্টেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে আপনার প্রথম বিবেচ্য হবে- মোবাইলে কেমন দেখাবে এই পেজ এবং কন্টেন্ট। কম্পিউটারের জন্য পরে হয়তো সময় পেলে অপটিমাইজ করে নিলেন।

২০১৬ সালে শেষদিকে গুগল ঘোষণা দিয়েছিল, এলগরিদম কোন সাইটকে র্যাঙ্কিঙের সময় প্রধান গুরুত্ব দিবে সাইটের মোবাইল সংস্করণটিকে। গুগল সার্চ কনসোল যারা ব্যবহার করেন, তারাও খেয়াল করবেন যে, কোন একটি পেজ মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হলে সার্চ কনসোল বারবার সেটি নোটিফাই করতে থাকে। এর থেকেই বোঝা যায় ওয়েবমাস্টার হিসেবে সাইটের মোবাইল সংস্করণকে কতটুকু গুরুত্ব দেয়া উচিত।

সুতরাং, আপনার ওয়েবসাইটের মোবাইল ভার্সনটি যদি সামান্য একটি “ প্লাগ-ইন” হয়ে থাকে, মোবাইল দিয়ে প্রবেশ করলে আপনার সাইটের কন্টেন্টের সম্পূর্ণ নয়- আংশিক দর্শন পাওয়া যায়; অর্থাৎ মোবাইল ব্যবহাকারীর দৃষ্টিতে আপনার সাইটের বিষয়ে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স যদি মন্দ হয়, তাহলে আপনার সাইটের র্যাঙ্কিঙে ধ্বস নামবে এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

কিভাবে মোবাইল ব্যবহারকারীরা আপনার সাইটের বিষয়ে সন্তুষ্ট হবেন এবং আপনার সাইটের মোবাইল ভার্সন কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে র্যাঙ্ক করার নতুন একটি উপায় হতে পারে, সেসব নিয়েই আমাদের আজকের এই আলোচনা।

মোবাইল রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট বনাম শুধুই মোবাইল ভিত্তিক ওয়েবসাইট

আসুন একটু মোবাইল ইন্টারনেটের প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ঘুরে আসি। আইফোন পূর্ববর্তী সময়টার কথা বলছি আরকি। ২০০৭ সালের দিক। মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী – তেমন গ্রাহ্য করার মত বিষয় ছিল না। কিছু লোক তাদের ব্লাকবেরী নিয়ে অনেক কসরৎ করতেন বটে। কিন্তু মোবাইলে ইন্টারনেটের বিশ্বজনীন ব্যবহার তখনও প্রতিষ্ঠিত কিছু ছিল নয়।

এমনকি ২০১২ সালেও দেখা গেল মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মাত্র ১০.৭ শতাংশ মোবাইল থেকে এসেছেন। এই সময়ে মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট কোন আবশ্যক বিষয় ছিল না। থাকলে-ভাল-হয় জাতীয় একটা ব্যাপার ছিল।

এই সময় যেসব মোবাইল সাইট বিদ্যমান ছিল, সেগুলো ছিল ডেস্কটপ সংস্করণটি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি ভিন্ন ধরণের ইউ-আর-এল ছিল তাদের ঠিকানা m.website.com। মোবাইল সাইটগুলোতে মূল সাইটের কন্টেন্টের কিংদংশ থাকত কোন প্রকারে। এসব সাইটে ভিজিটর আসতও কম। সাইটগুলো দেখতেও বেশ বাজে ছিল। কিন্তু মাত্র ১০.৭ শতাংশ ভিজিটর বিধায়, ঐ নিয়ে অত ঘামাতেন না কেউ।

দু’হাজার পনের সাল থেকে বিষয়গুলোতে একটি পরিবর্তন আসতে শুরু করল। দেখা গেল, ওয়েবসাইটগুলোর ট্রাফিকের ৩৫ শতাংশই এখন মোবাইল থেকে আসছে। আপনি যাচ্ছে-তাই করে যে মোবাইল ওয়েবসাইটটি বানিয়ে রেখেছিলেন, আপনার পঁয়ত্রিশ শতাংশ ভিজিটর সেটিকেই আপনার সাইট হিসেবে দেখতে পায়। সুতরাং, গুরুত্ব না দেয়ার আর কোন উপায় রইল না।

এই সময় থেকে বিভিন্ন ‘রেসপন্সিভ’ ওয়েবসাইট তৈরী করা শুরু হয়। অর্থাৎ যে ডিভাইস থেকে দেখা হচ্ছে সেটির সাপেক্ষে সাইটটি নিজের পেজের লে-আউট পরিমার্জনা করতে পারে; অর্থাৎ রেসপন্স করে।

আজ-কালকার অধিকাংশ ওয়েবাসাইটের এটি একটি ডিফল্ট গুণ। এবং আলাদা করে একটি মোবাইল ওয়েবসাইট তৈরি করার চেয়ে এরকম একটি রেসপন্সিভ ওয়েবাসাইট তৈরি করাই ভালো।

এর স্বপক্ষে যে কারণগুলো দর্শানো যায়-

১। আপনাকে একটির বেশী ওয়েবসাইট আপডেট করতে হচ্ছে না। মোবাইলের জন্য আলাদা সাইট বানালে, প্রতিবার মেইন সাইটের সেটিংসে কোন পরিবর্তন করলে মোবাইল সাইটে গিয়েও সেটি আপডেট করে আসতে হবে। একটি সাইটকে আপডেট করাই যথেষ্ট ঝামেলা কাজ। দুটো সাইট হলে তো যন্ত্রণার শেষ থাকবে না।
২। রেসপন্সিভ সাইট বানালে, আপনার মোবাইল সাইটে মূল সাইটের কোন কন্টেন্ট বাদ পড়বে না। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গুগল এখন মোবাইল-ফার্স্ট ইনডেক্স করে থাকে।
৩। আপনাকে ব্রোকেন লিংক, রিডাইরেক্ট, ক্যানোনিকালাইযেশান এসব নিয়ে পৃথক দুশ্চিন্তা করতে হবে না। যদি দুটো সাইট বানান তাহলে এসব করতে গিয়ে জীবনে আর কিছু করারই সময় পাবেন না।

সুতরাং, বলা যায় মোবাইলের জন্য আলাদা সাইট বানানো আপনার জীবন উপভোগের অন্তরায়।

একটি সফল মোবাইল ল্যান্ডিং পেজ বানাবেন যেভাবে

সংজ্ঞা: “অনলাইন মার্কেটিঙের ক্ষেত্রে, একটি ল্যান্ডিং পেজ, অনেক ক্ষেত্রে যা “লীড ক্যাপচার পেজ”, “সিঙ্গেল প্রপার্টি পেজ”, “স্ট্যাটিক পেজ” বা “ডেসটিনেশান পেজ” নামে পরিচিত, হচ্ছে একটি সিঙ্গেল ওয়েবপেজ যা কোন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড সার্চ রেজাল্ট, মার্কেটিং প্রমোশন, ইমেইল মার্কেটিং বা কোন অনলাইন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে পাওয়া যায়” (উইকিপিডিয়া অনুসারে)।

মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একধরণের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় এক্ষেত্রে। সমাগত ভবিষ্যতে, মাসিক একশ বিলিয়ান ইন্টারনেট সার্চের মাঝে পঞ্চাশ শতাংশই মোবাইল থেকে করা হবে- এরকম ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ লোকাল সার্চ এবং ইউজারের অবস্থানের সবচেয়ে নিকটবর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি সম্পর্ক তৈরি করেছে গুগল।

বিশেষজ্ঞদের একটি পর্যবেক্ষণ আছে এই বিষয়ে। কোন সময়ে ইউজার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মোবাইল ইন্টারনেটের শরাপন্ন হন সেটি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন তারা। দেখা যায়, কোন একটি পণ্য ক্রয়ের প্রক্রিয়ার মধ্যবর্তী পর্যায়টিতে মানুষের মোবাইল ব্যাবহারের প্রবণতা বেশী।

যে কারণে, মোবাইল ল্যান্ডিং পেজ তৈরির সময় ওয়েবমাস্টারদেরকে বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়।পেজটি এমনভাবে তৈরি করতে হয়, যেন কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই সরাসরি ও দ্রুত নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এবং সেই স্থানীয় ব্যাবসায়ী যে এলাকায় ব্যবসা করতে চান, সেখানকার “অন্য সম্ভাব্য ক্রেতাদেরদের” পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্যও একটি সুষ্ঠু মোবাইল ল্যান্ডিং পেজের গুরুত্ব অপরিসীম।

এখানে ক্রেতার অবস্থান থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানের দূরত্বও একটি বিবেচ্য বিষয়। কারণ কখন মানুষ আপনাকে মোবাইল থেকে খুঁজবে? সাধারণতঃ পথে ঘাটে অবস্থান করছেন এমন সময়। কারও রাস্তাঘাটে থাকাকালীন, হয়তো বাড়ির জন্য কিছু কেনার কথা মনে পড়ল, বা দুপুরে খাবার জন্য রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন, এমন সময়ই মানুষ মোবাইল ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে থাকেন।

এখানে আপনার ল্যান্ডিং পেজের লোডিং টাইমটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ল্যান্ডিং পেজে বিশেষ ধরণের কন্টেন্টের প্রয়োজন হয়। ওয়েবমাস্টারকে এমন টেক্সট লিখতে হবে যেটি স্বল্প সময়ের মধ্যে তার অভীষ্ট ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম।

একটি সফল মোবাইল ল্যান্ডিং পেজ তৈরিতে লক্ষণীয় বিষয়গুলো


হেডলাইনের নকশা

মোবাইল ডিভাইসের উদ্দেশ্যে তৈরী করা ল্যান্ডিং পেজের হেডলাইনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই হেডলাইনটি অত্যান্ত সংক্ষিপ্ত হয়। এমন একটি হেডলাইনের আদর্শ দৈর্ঘ্য হচ্ছে সর্বোচ্চ চারটি শব্দ।

ইউজারের প্রয়োজন নেই এমন প্রতিটি শব্দ কেটে বাদ দিয়ে দিন। ধরুন- আপনি লিখলেন “আমাদের বিপুল সংখ্যক ল্যাপটপের সমাহার থেকে আপনার পছন্দেরটি বেছে নিন অর্ধেক মূল্যে”। এমনটা চলবে না। লিখতে হবে “ ল্যাপটপ কিনুন – পঞ্চাশ শতাংশ মূল্যছাড়”। আপনার মোবাইল ল্যান্ডিং পেজের হেডলাইন হবে সর্বপ্রকার বাহুল্য বর্জিত।

মোবাইল ল্যান্ডিং পেজের সুষ্ঠু উপস্থাপন

অভিজ্ঞ ওয়েবমাস্টাররা নিশ্চিত করেন যে, সম্ভাব্য ক্রেতাটির বা ইউজারের পণ্য বিষয়ে যত ধরণের তথ্য দরকার সবটাই যেন একটি সারাংশ সারমর্ম রূপে পেজে পাওয়া যায়। একটিও বাড়তি কথা থাকবে না। কিন্তু কোন প্রয়োজনীয় তথ্যও বাদ দেয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে তারা নিজেদেরকে ওয়েবসাইটটির একজন মোবাইল ভিজিটর হিসেবে কল্পনা করতে পারেন। ইউজারের অবস্থান থেকে ভাবলে দেখবেন, আপনার হাতে সময় অতি কম। আপনি শুধু কাজের কথাটুক জানতে চান। যেকারণে, পণ্য বা সেবার অযথা দীর্ঘ অলংকারবহুল বর্ণণা মোবাইল ল্যান্ডিং পেজের ক্ষেত্রে বর্জনীয়।

একটি ল্যান্ডিং পেজকে সম্পূর্ণরূপে ছবি বা টেকস্ট দিয়ে পূর্ণ করারও কোন মানে হয় না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় লিংকগুলো থাকবে, পণ্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ থাকবে। এই পেজগুলো ডিজাইন করার সময় “মিতচারিতাই মঙ্গল” – এই রীতির অনুসরণ করুন।

কল-টু-একশান’গুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করুন

ওয়েবসাইটে “সাইন-আপ” “বাই-নাও” “ কল-নাও” প্রভৃতি যে বাটনগুলো থাকে সেগুলোই কল টু একশান বাটন। অর্থাৎ, যে বাটনগুলো কোন একটি একশান নিতে আহ্বান করে ক্রেতাকে। মোবাইল ল্যান্ডিং পেজে ঢোকা মাত্র এই বাটনগুলোই প্রথমে চোখে পড়ে।

এই বাটনগুলোর দুটো বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এক হল, কল-টু-একশান বাটনগুলো একটি সরাসরি ও ভণিতাহীন আহ্বান জানাবে। দ্বীতিয়টি হল, বাটনগুলো যে ভাব ব্যাক্ত করবে সেখানে ধোঁয়াশার বিষয় থাকবে না। অর্থাৎ, বাটনটিতে ক্লিক করলে যা ঘটবে বলে মনে হয়, তাই যেন ঘটে। ক্রেতাকে যেন অযথা কোন প্যাঁচে পড়তে না হয়।

সরাসরি কল করার জন্য একটি ফোন নম্বর দিন

সিরিয়াস ব্যবসায়ী এবং ওয়েবমাস্টার মাত্রই এই কাজটি করে থাকেন। তারা মোবাইল ল্যান্ডিং পেজে একটি ফোন আইকন এবং সাথে ফোন নাম্বার যুক্ত করে দেন। এমন একটি ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন যেন মোবাইল বা এই জাতীয় আইকনে ক্লিক করা মাত্রই সম্ভাব্য ক্রেতাটি সরাসরি আপনাকে কল করতে পারবে।

ক্রেতাকে আপনার প্রতিষ্ঠানে (যেমন দোকান, রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে) স্বশরীরে আসতে হবে – এমন ব্যাপার থাকলে, গুগল ম্যাপের একটি লিংক যুক্ত করে দিন। এক্ষেত্রে ইউজারগণ তাদের মোবাইলের জিপিএস সুবিধাটি ব্যবহার করে আপনার প্রতিষ্ঠান বা অফিসকে খুঁজে পেতে পারবে।

প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান

মোবাইল ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে সময়ের ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। আপনার পেজ লোড হতে যদি বেশী সময় লেগে যায়, ইউজার অপেক্ষা করে থাকবে না। এই যুগের মানুষের সময়ের সবচেয়ে অভাব। তারা আপনার সাইট পরিত্যাগ করে অন্য কোন প্রতিদ্বন্দী ব্যবসায়ীর সাইটে চলে যাবে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য। যেকারণে, প্রতিটি সেকেন্ডকে গুরুত্ব দিন।

ফ্ল্যাশ টেকনোলজি এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন বিরক্তিকর প্লাগ-ইন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এসব জিনিস পেজে ব্যবহার করলে পেজের গতিনাশ তথা সময়নাশ ঘটে থাকে ইউজারের।

পেজটি সম্পূর্ণ রূপ নিয়ে দেখা নিতে অনেক বেশী সময় লেগে যায়। একই বিষয় খেয়াল রাখবেন ছবি যুক্ত করার সময়। ছবিগুলোকে জেপিজি ফরম্যাটে দিন। পিএনজি ইমেজ এড়িয়ে চলুন। পিএনজি ব্যবহার করলে পেজ লোড হতে সময় বেশী লেগে যায়।

এইচটিএমএল ফাইভ এবং জে-কোয়েরী ব্যবহার করতে পারেন। এই টুলসগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত। তারা পেজের লোডিঙের গতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সাথে এইচটিটিপি রিকোয়েস্টের সংখ্যা কম রাখলে ভাল। তার বদলে, সিএসএস ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন। এরা লোডিং টাইমকে অনেক কমিয়ে আনতে পারে।

একটি মোবাইল ল্যান্ডিং পেজের আকার কতটুক হবে সেটি নির্ভর করে কি কন্টেন্ট দেখা যাচ্ছে তার ওপর। তবে সাধারণতঃ বিশ কিলোবাইটের বেশী বড় পেজ না বানানোই ভাল। ওয়েবমাস্টারদের স্মরণ রাখতে হবে- সব ইউজার একই ধরণের ইন্টারনেট কানেকশান ব্যবহার করেন না। কেউ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেন, কেউ ফোর-জি, কেউ আবার থ্রী-জি।

মোবাইল ল্যান্ডিং পেজটি নিজে প্রথমে পরীক্ষা করে দেখুন

ইউজারদের বা ক্রেতাদের সামনে পেশ করার আগে নিজে একবার আপনার মোবাইল ল্যান্ডিং পেজটি পরীক্ষা করে দেখুন। একটি আদর্শ পেজে, বাড়তি কথা থাকবে না, টেক্সটের পরিমাণ হবে স্বল্প এবং কল-টু-একশান’গুলো হবে স্পষ্ট ও প্রতারণাহীন। ক্রেতার অবস্থান থেকে নিজের পেজটিকে দেখার চেষ্টা করবেন।

সামনের দিনে ওয়েব ট্রাফিক বলতে হয়তো মোবাইল ডিভাইসগুলোর ট্রাফিককেই বোঝানো হবে। সুতরাং, অনলাইনে সাফল্য প্রত্যাশী সবার মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেসে মনযোগী হওয়া উচিত।

প্রয়োজন মনে হলে পড়ে দেখতে পারেন –

Leave a Comment