সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি ও কেন প্রয়োজন?

আজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি বা এসইও কি (What is SEO)? -এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ (SERP’s) এর প্রথম পাতায় নিয়ে আসা, জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা তথা ওয়েবসাইটের দর্শক বা ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও (SEO) এর ভূমিকা কি ও কেন গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ এসইও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

সূচীপত্র

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?
Photo by Oleksandr Pidvalnyi on Pexels.com

Search Engine Optimization বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এই প্রশ্নের সহজ সংক্ষিপ্ত উত্তরে বলতে হয়- একটি ওয়েবসাইটের ওয়েবপেজ এর বিষয়বস্তু বা কন্টেন্টকে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে বা কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে প্রকাশ করা যাতে করে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলো যেমন গুগল, বিং, ইয়েন ডেস্ক, ডাক ডাক গো প্রভৃতিদের বিশেষভাবে প্রোগ্রাম করা এপ্লিকেশন বা ক্রাউলার খুব সহজেই সেগুলো পড়তে বা স্ক্যান করতে পারে।

এতে করে ঐ সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনগুলো নির্দিষ্ট ওয়েবপেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য তাদের নিজস্ব ডেভালপার বা প্রোগ্রামারদের দ্বারা তৈরিকৃত এলগরিদম এর মাধ্যমে কন্টেন্টের মান যাচাই ও বাছাই করে প্রয়োজন মত তাদের সার্চ রেজাল্ট পেজ বা SERP’s এ প্রদর্শন করে।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) কত প্রকার ও কি কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও মূলত দুই প্রকার।

১। ব্লাক হ্যাট এসইও

২। হোয়াইট হ্যাট এসইও

ব্লাক হ্যাট এসইও

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, একটি নির্দিষ্টি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা SERP’s এর প্রথম পাতায় নিয়ে আসা। তবে সেটা সার্চ ইঞ্জিনগুলোর নির্ধারণ করা গাইডলাইন মেনে করাটা বাঞ্ছনীয়। যদি কোন ব্যক্তি তা না করে বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োগ করে বা গাইডলাইন অমান্য করে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট বা তথ্যাসমূহ SERP’s এর প্রথম পাতায় নিয়ে আসেন তবে সেই পদ্ধতিকে ব্লাক হ্যাট এসইও বলা হয়।

এতে করে সাময়িক সুবিধা হলেও অর্থাৎ কিছুদিন বা সময়ের জন্য সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ এর প্রথম পাতায় আসা সম্ভব হলেও খুব দ্রুতই সার্চ ইঞ্জিনসমূহ এই বিষয়টি ধরতে পারে। এতে করে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। যেমন- প্রথম পাতায় আসা তথ্যসমূহ মুছে ফেলা এবং ঐ তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটকে কালো তালিকাভুক্ত করে ব্যান করে দেয়া।

এ কারণেরই ব্লাক হ্যাট এসইও না করাই ভালো। কেননা, এর মাধ্যমে একবার একটি ওয়েবসাইট কালো তালিকাভুক্ত হলে পরবর্তীতে সেই ওয়েবসাইটের কোন তথ্য SERP’s এর প্রথম দিকের পাতায় নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভবই বলা চলে।

হোয়াইট হ্যাট এসইও

সার্চ ইঞ্জিনসমূহের নির্ধারণ করা গাইডলাইন বা এসইও এর সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেন করা হলে তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইও বলা হয়। এই প্রকার এসইও এর মাধ্যমে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের তথ্যাদি সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ (SERP’s) এর প্রথম পাতায় আনা সম্ভব হলে তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।

হোসাইট হ্যাট এসইও প্রধানত তিন ভাবে করা যায়।

#১ অনপেজ এসইও (On-page SEO)

অনপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? (What is On-page SEO)


নিজের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল, কন্টেন্ট বা তথ্যাসমূহ সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এসইও করার নামই হচ্ছে অনপেজ এসইও। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- একটি ওয়েবসাইটের গঠন, থিম, ইউআরএল স্টাকচার, আর্টিকেল বা কন্টেন্ট, ছবি, অডিও-ভিডিও প্রভৃতি এমনভাবে সুবিন্যস্ত করা যাতে করে তা সার্চ ইঞ্জিন ক্রাউলার যথা গুগল বুট এর পক্ষে খুঁজে বের করা ও স্ক্যান বা পরীক্ষা করা সহায়ক হয়ে উঠে।

এছাড়া ওয়েবসাইটের প্রতিটি আর্টিকেল, আর্টিকেল বা পোস্ট এর প্রতিটি অংশ, সার অংশ, ছবি বা মিডিয়ার বিষয়বস্তু, ওয়েবসাইটে সর্বমোট কন্টেন্ট এর সংখ্যা এবং প্রতিটি কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন ক্রাউলার যাতে সঠিকভাবে কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই স্ক্যান করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য অন পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (On-page SEO) পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়।

অনপেজ এসইও (SEO) কিভাবে করবো?

১। আর্টিকেল এর জন্য তুলনামূলকভাবে কম সার্চ ভলিউম এর লং টেইল কিওয়ার্ড রিসার্চ করা।

২। টাইটেল এবং আর্টিকেল এর স্লাগ বা পোস্ট ইউআরএল এর মধ্যে প্রধান কিওয়ার্ড এর ব্যবহার।

৩। যথাযথভাবে হেডলাইন (h1 – h6) লেখা।

৪। সাইটের অন্যান্য আর্টিকেল এর সাথে ইন্টারনাল লিংক বিল্ডিং।

৫। ইমেজ অপ্টিমাইজেশন।

৬। সাইটম্যাপ তৈরি।

#২ অফপেজ এসইও (Off-page SEO)

অফপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি (what is off-page SEO)


টার্গেটেট ওয়েবসাইট বা যে ওয়েবসাইটের এসইও’র কাজ করা হচ্ছে, সেই ওয়েবসাইটের পরিধির বাইরে অন্য কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টার্গেটেট ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক বিল্ডিং এর কাজ করা অথবা কোন বিশেষ পদ্ধতি যেমন- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা SEM, ইমেইল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং প্রভৃতি কৌশল প্রয়োগ করে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের জন্য সহায়ক যে কাজগুলো করা হয় তাকেই অফপেজ এসইও ইংরেজিতে Off-page Search Engine Optimization বলে।

পড়ুন- ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়

অফপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও (SEO) করার উপায় বা পদ্ধতিসমূহ

  1. ব্যাকলিংক তৈরি করা।
  2. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা (SEM)।
  3. ফোরাম পোস্টিং।
  4. গেস্ট পোস্টিং।
  5. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
  6. ইমেইল মার্কেটিং।
  7. ওয়েবসাইট ডাইরেক্টরি সাবমিশন।

#৩ টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)

টেকনিক্যাল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি (what is technical SEO)


ওয়েবসাইটের গঠনগত কিছু বিষয়ের উপর কাজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করার নামই হচ্ছে টেকনিক্যাল এসইও।

টেকনিক্যাল এসইও এর কিছু পদ্ধতি-

(১) ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কি - ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন করার পদ্ধতি
Photo by Pixabay on Pexels.com

একটি ওয়েবসাইডের লোডিং স্পিড এসইও এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। আপনি যদি আপনার সাইটকে গুগলের প্রথম পাতায় স্থান দিতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটটি যথেষ্ঠ ভালো গতিতে যাতে ওয়েব ব্রাউজার খুলতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এসইও বিশেষজ্ঞদের মতে একটি ওয়েবপেজ খুলতে ৩ সেকেন্ড এর বেশী সময় নিলে সেই পেজটি দর্শককে বিরক্ত করতে পারে। ফলশ্রুতিতে এর পরিণামস্বরুপ আপনি শুধুমাত্র ধীর গতিতে ওয়েবসাইট লোড হবার কারনে ৬০ শতাংশের চাইতেও বেশী পরিমানে দর্শক হারাতে পারেন।

সার্চ ইঞ্জিনগুলো দর্শক চাহিদার এই বিষয়গুলোকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করে। যার কারনে দেখা যায়, যে সমস্ত ওয়েবপেজ দ্রুত গতিতে খুলে বা লোড হয় সেই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলসমূহ গুগল খুব সহজেই তার প্রথম পাতায় স্থান দিয়ে থাকে।

ওয়েবসাইট স্পিড বাড়ানোর উপায়?

ভালো, দ্রুতগতি সম্পন্ন ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার এর সার্ভারে ওয়েবসাইটটি হোস্ট করা

সম্ভব হলে ভিপিএস, ক্লাউড বা ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যবহার করুন।

আমাদের বিবেচনায় বিশ্বের সব চাইতে দ্রুত গতির ওয়েব সার্ভার প্রদাণকারী প্রতিষ্ঠান HostGator বা Hostinger এর কাছ থেকে ওয়েব হোস্টিং সেবা গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবেন।

এছাড়া বাংলাদেশের ওয়েব হোস্টিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সার্ভার স্পিড বিবেচনায় XeonBD এবং ExonHost এ হোস্ট করা ওয়েবসাইটও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে লোড করার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ত্বের অন্যতম দাবীদার।

আপনার কাছে যদি বাইরের দেশের ওয়েব হোস্টিং সেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পেমেন্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডুয়েল কারেন্সি কার্ড না থেকে থাকে তবে বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলাদেশের ওয়ব হোস্টিং সার্ভিস কিনে নিশ্চিন্ত নির্ভরতায় ব্যবহার করতে পারবেন।

(২) দ্রুত গতির, পরিচ্ছন্ন ডিজাইন সমৃদ্ধ প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা

আপনি ভালো হোস্টিং সার্ভার ব্যবহার করলেও অনেক সময় শুধুমাত্র একটি নকল, ভাইরাসযুক্ত কোডিং সমৃদ্ধ অথবা বাজেভাবে ডিজাইন করা ফ্রি থিম ব্যবহার করলেও অনেক সময় তা আপনার ওয়েবসাইট স্পিড ধীরগতির করে, লুক এবং গঠন নষ্ট করে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন তথা গুগল বুট এর কাছে বিবেচনার অযোগ্য একটি ওয়েবসাইটে রুপান্তর করতে পারে।

অতএব, এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই ওয়েবসাইটে দ্রুত গতির, এসইও অপ্টিমাইজড প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করবেন।

(৩) ক্যাচিং প্লাগইন ব্যবহার করে ওয়েব সাইটের স্পিড বৃদ্ধি করা

বিভিন্ন ক্যাচিং প্লাগইন ব্যবহার করেও ওয়েব সাইটের স্পিড বৃদ্ধি করে সার্চ ইঞ্জিনসমূহের কাছে একটি ওয়েবসাইটকে অধিক গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়।

সর্বাধিক জনপ্রিয় ক্যাচিং প্লাগইন সমূহ-

  1. WP Rocket (প্রিমিয়াম প্লাগইন)
  2. LiteSpeed Cache (ফ্রি প্লাগইন)
  3. W3 Total Cache (ফ্রিমিয়াম প্লাগইন)

(৪) ওয়েবসাইট বিভিন্ন রেজুলেশনের স্ক্রিণ যথা- ডেক্সটপ, মোবাইল, ট্যাব প্রভৃতি ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করা

সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের সাম্প্রতিক ঘোষণা মতে, একটি ওয়েবসাইটকে অবশ্যই বিভিন্ন স্ক্রিণ রেজুলেশনে যথাযথভাবে খুলতে সক্ষম হয় এমনভাবে তৈরি করে প্রকাশ করতে হবে। সহজভাবে বললে- আপনার ওয়েবসাইটের মোবাইল ও ট্যাব সংস্করণ থাকতে হবে।

একটি ওয়েবসাইটের মোবাইল সংস্করণ কিভাবে তৈরি করা যায়?

খুবই সহজ। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিএমএস, যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করে থাকেন; তবে এমন একটি থিম নির্বাচন করবেন যেটির মোবাইল বা ট্যাব সংস্করণ রয়েছে। অর্থাৎ থিমটি ডেস্কটপ, স্মার্টফোন, ফিচার ফোন ও ট্যাবে ঐ ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত সংস্করণ লোড করার সুবিধাযুক্ত করে কোডিং করা হয়েছে।

(৫) ডোমেইন নেম www যুক্ত না www সাব ডোমেইন ছাড়াই প্রদর্শিত হবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া (www or no www)

ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় আপনার সাইটটি www যুক্ত অবস্থায় নাকি www ছাড়াই ব্রাউজারের এড্রেস বারে প্রদর্শিত হবে তা নির্দিষ্ট করে দিন।

এতে করে সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ওয়েবসাইটের কোন সংস্করণ সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করবে তা বুঝতে সক্ষম হবে।

এতে করে কি সুবিধা পাওয়া যাবে?

এক কথায় আপনার ওয়েব সাইটটি কন্টেন্ট ডুপ্লিকেসি এর অপবাদ থেকে মুক্তি পাবে।

(৬) SSL certificate যুক্ত করে সাইটের নিরাপত্তা (https) নিশ্চিত করা

একটি ভালো মানের SSL Certificate কিনে তা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ইনস্টল করে নিন।

এতে করে যেমন আপনার ওয়েব সাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন সমূহের কাছে আপনার সাইটের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের মধ্যেও ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আস্থা ও বিশ্বাস বজায় থাকবে।

(৭) AMP (Accelerated Mobile Pages) প্লাগইন ব্যবহার করা

আপনার সাইটে AMP প্লাগইন ব্যবহার করে সাইটটি গুগলের দ্রুত গতিতে ওয়েব পেজ লোড করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের অংশ করে নিন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলোর একটি করে AMP সংস্করণ গুগলের ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

বর্তমানে গুগলের SEO Guidelines অনযায়ী এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, গুগল তার SERP’s এর প্রথম পাতায় একটি ওয়েব পেজ এর এএমপি সংস্করণকে অধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।

এসইও করা কেন প্রয়োজন?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা


সার্চ ইঞ্জিন একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ওয়েব পেজ সমূহ তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে পড়ে নেয়। এরপর ঐ ওয়েব পেজ এর বিষয়বস্তু তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখে।

পরবর্তীতে যদি কোন ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ অপশন ব্যবহার করে কিছু খুঁজে বের করতে চেষ্টা করে তখন সার্চ ইঞ্জিন ভিজিটর এর সার্চ করা শব্দটি তার ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যের ভাণ্ডারে খুঁজে দেখে। এতে যে ফলাফল আসে তার মধ্য থেকে সবচাইতে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ ওয়েব পেজের লিংক ভিজিটরের সামনে সার্চ রেজাল্টে প্রকাশ করে।

এই তথ্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন কিছু নিয়ম অনুসরণ করে। সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র সেই তথ্যগুলোই প্রথম সারির সার্চ রেজাল্টে প্রকাশ করে যেগুলো মৌলিক লেখা। নেয়া হয়েছে একটি সুন্দরভাবে লিখিত, নকশাকৃত ওয়েবসাইট থেকে।

যেখানে আলোচিত বিষয়গুলো দর্শকদের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে বিস্তারিত তত্ত্ব ও তথ্যের সমাহার করে আলোচনার মাধ্যমে।

যাতে করে প্রতিটি ভিজিটর সহজে তার প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী খুঁজে বের করতে পারে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা এখানেই।

সুতরাং নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিও ও এর গুরুত্ব কতটুকু। কারণ, সঠিকভাবে একটি ওয়েবপেজ এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে পারলে উক্ত ওয়েবপেজ এ বর্ণিত তথ্য দ্রুত সার্চ রেজাল্টে আসতে সক্ষম হয়। ফলে উক্ত ওয়েব সাইটের অর্গানিক ভিজিটর বৃদ্ধি পায়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি ও কেন প্রয়োজন সম্পর্কিত লেখাটি আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে এসইও টিউটোরিয়াল এর কোন এক পর্বে অনপেজ এসইও (On-page SEO) করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার আশা রেখে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

এসইও (SEO) সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল সমূহ-