ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপায়

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট প্রকাশ করে নিয়মিত তাতে লেখা প্রকাশ করা এখন আর শুধু ব্যক্তি বিশেষের শখ পূরণের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নেই। বিশেষ করে তরুণ সমাজের জন্য। বর্তমানে বড় জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে ইন্টারনেট সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হবার সুযোগ নিয়ে তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার বিষয়ে অনেক বেশি আগ্রহী। এ লেখাতে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি সহজ ভাষায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

সূচীপত্র

ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সম্ভাবনা কতটুকু?

বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগ।

শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সের, শ্রেণী-পেশার মানুষ এখন সর্বস্তরে, সম্ভাব্য সকল মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগীতা নিয়ে ওয়েবসাইট বা ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি করে অথবা সোস্যাল মিডিয়ায় নিজেকে বা নিজের পণ্য, প্রকাশনা বা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, রাজনীতি বা ক্রীড়া বিষয়ক তথ্য, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতিক্রিয়া; প্রভৃতি বিশ্ব দরবারে যতটা সম্ভব আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের প্রতিন্দ্বন্দীতায় ব্যস্ত।

বিশ্বের ছোট-বড় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেখা যায় ঠিক একইভাবে বছরজুড়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার কার্যক্রম নিয়ে তাদের ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে।

সাফল্য, সফলতার চূড়ায় উঠা, অন্যকে ডিঙ্গিয়ে বা পরাজিত করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এই প্রতিযোগীতার যেন শেষ নেই, সীমা নেই।

আপনিও কিন্তু এই প্রতিযোগীতারই একটি অংশ। আপনি স্বীকার করুন বা নাই করুন- মনের গহীন কোনে অন্য সবার মত আপনারও সফলতা প্রাপ্তি বা সফল হবার ইচ্ছা খুব জোড়ালোভাবেই আছে।

শুধুমাত্র সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে আপনি এগিয়ে যেতে পারছেন না।

হয়ত শিক্ষা বা ঘুঁষের জোরে একটি আঠপৌঁড়ে চাকরি যোগার করতে পেরেছেন। কিন্তু সে চাকরীতে আপনি মোটেও সন্তুষ্ট নন।

কেননা গতবাঁধা জীবনের গ্যাঁড়াকলে পরে, দিন-রাত বসের ধমক আর তাগাদা শুনতে শুনতে মনটা বিঁষিয়ে উঠেছে।

বৈচিত্র পিয়াসী মন, চায় কি যে সারাক্ষণ!

আপনি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাইছেন। কিন্তুু পারছেন না। কারণ, আপনার উপর নির্ভরশীল আপনার পরিবার।

তারপরও-

এই আপনার সামাজিক প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যায়- আপনি আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভাল লাগা, মন্দ-লাগা, নিত্যদিনের যাপিত জীবনের অনেক না বলা কথা প্রতিনিয়ত চেনা-অচেনা সবার সাথে বিনিময় করছেন।

ফেসবুকে আপনাকে প্রতিদিন একবার না একবার ঢুঁকতে হবেই। প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে পারাটা আপনাকে মানসিকভাবে কিছুটা শৃঙ্খলমুক্ত হতে পারার স্বাধীনতা উদযাপনের সুযোগ করে দেয়।

আপনি কি লক্ষ্য করেছেন- আপনার এই অতিরিক্ত সামাজিক হওয়ার নেশা আপনার কতটা সময় ও অর্থের অপচয় ঘটায়?

অথচ, কি লাভ হচ্ছে তাতে? আপনার হৃদয় নিংড়ানো কথাগুলো হয়তো ফেসবুকের টাইমলাইনে সর্বোচ্চ ১ মিনিট থাকবে।

কারণ অনেক বন্ধুদের নিয়মিত লেখার ক্রমবর্ধমান স্রোতধারায় আপনার লেখাটি খুব বেশিক্ষণ টাইমলাইনে থাকার উপায় নেই।

আর আপনার প্রোফাইলে ঢুঁ মেরে আপনার তথাকথিত ফেসবুক বন্ধুরা সেই লেখাগুলো পড়বে- এতো সময় কার হাতে আছে বলুনতো?

অপরদিকে আপনি বা আপনার আপনজন কেউ হয়ত শিক্ষাজীবন সফলভাবে সম্পন্ন করার পরও বেকার বসে আছেন বা চাকুরী করে অথবা ব্যবসা করে খুব একটা সফল হতে পারছেনা।

প্রতিদিন, দিন শেষে রাত হলে বিছানায় মাথা রেখে হিসেব করে দেখেন আর নিজেকে প্রশ্ন করেন- জীবনটা কি এইভাবেই শেষ হয়ে যাবে!

ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট আপনার একটি নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস হতে পারে

আসুন জেগে উঠি, নতুন কিছু করি

মনের জানালাটা খুলে একটু বাইরের জগতটাকে ভাল করে আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন।

আজ আমাদের পাশের দেশের অর্থাৎ ভারতের উদাহরণটাই একটু লক্ষ্য করে দেখুন। আপনি আপনার চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।

নিচে একটি পরিসংখ্যান দেয়া হলো। পরিসংখ্যানটি নেয়া হয়েছে Quora.com সাইট থেকে।

উপরে যাদের মাসিক আয়ের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে তাদের সবার আয়ের উৎস হচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠিত ব্লগ বা ওয়েবসাইট।

যে ব্লগ সাইটগুলো তারা দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন। এ কাজে তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, সময় দিতে হয়েছে।

এই কঠিন পৃথিবীতে সফল হতে হলে একটু পরিশ্রম তো যে কোন কাজ বা ব্যবসায় করতে হবেই। তবে সঠিক পথে পরিচালিত এই পরিশ্রমের ফসলটা একটু দেখুন।

হালালভাবে সাধারণ ব্যবসা বা চাকরী করে কি এমন উপার্জন সম্ভব?

আমি নিশ্চিত শতকরা ৯৯ জনই বলবেন সম্ভব নয়।

অথচ একটি তথ্যসমৃদ্ধ, মানসম্পন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার মাধ্যমে আপনিও কিন্তু এমন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেন।

আপনার যে উপার্জনে আপনার সবচাইতে সেরা নিন্দুকও প্রশ্ন তুলতে পারবেনা।

কারণ আপনার এই উপার্জন হবে শতভাগ নির্ভেজাল হালাল।

বাংলাদেশে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার ক্ষেত্রে সফল যারা

আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই এমন উদাহরণ খুঁজে পাবেন।

সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ techtunes.co আপনাকে প্রেরণা দানে যথেষ্ঠ।

সুতরাং কেন আর বসে বসে ভাববেন আর সময় নষ্ট করে দুঃসহ জীবনের বোঝা বয়ে বেড়াবেন। আসুন চেলেঞ্জিং কিছু করে জীবনটাকে সম্পূর্ণ পাল্টে নিই।

আসুন আমরাও আজই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা শুরু করি!

প্রথমেই জেনে নেয়া যাক-

কিভাবে ব্লগ তৈরি করব?

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

একটি ব্লগ সাইট তৈরি ও তা অনলাইনে প্রকাশ করার জন্য যে সকল কাজ করা প্রয়োজন তার একটি গাইডলাইন নিচে উল্লেখ করেছি এবং এতে উল্লিখিত প্রতিটি বিষয় নিচে প্রাসঙ্গিক লেখাতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

১। আপনার ব্লগ এর নাম দিন এবং সেই নামে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করুন।

কেন ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রশন করা প্রয়োজন?

আপনি যদি অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ খুলতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে সবার আগে আপনাকে আপনার ব্লগের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে নির্বাচিত একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এই ডোমেইনটি হবে অনলাইনে আপনার ভার্চুয়াল আইডিন্টিটি যা ওয়েব ব্রাউজারের এড্রেস বারে একটি URL লিংক হিসেবে দেখানো হবে। যেমন- এই ব্লগের ডোমেইন নেম বা ডোমেইন URL টি হচ্ছে-

https://swapnilbangla.com

অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি অনলাইনে আপনাকে খুঁজতে অথবা আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেতে চায়, তবে তাকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন- গুগল বা বিং এর সার্চ অপশনে আপনার নাম বা ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেমটি লিখে সার্চ করতে হবে।

এতে করে সার্চ রেজাল্টের পাতায় (SREP’s) আপনার ভার্চুয়াল ঠিকানা অর্থাৎ আপনার ব্লগের নাম বা ব্লগ টাইটেল এবং তার ঠিক নিচে আপনার ব্লগের URL লিংক বা ডোমেইনটি প্রদর্শন করবে। ফলশ্রুতিতে আগ্রহী ব্যক্তিটি ডোমেইন নেম এর লিংক অনুসরণ করে বা তাতে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ খুলতে পারবে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- ধরে নিন আপনি ওয়েব ডিজাইন, ব্লগিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ক কোন সমস্যার সমাধানকল্পে আমাকে খুঁজতে আমার নাম সাব্বির আহমেদ রাহিক লিখে গুগলে সার্চ করে সার্চ রেজাল্টে swapnilbangla.com লিংক এর নিচের দিকে স্নিপেট এর মধ্যে আমার নামটি দেখতে পেলেন। ফলশ্রুতিতে আপনি সহজেই লিংকটিতে ক্লিক করে আমার ব্যক্তিগত ব্লগে প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনার সমস্যার কথা আমাকে জানাতে সক্ষম হলেন।

এক্ষেত্রে swapnilbangla.com হচ্ছে আমার ব্যক্তিগত ব্লগের ডোমেইন নেম যা কিনা আমি আমার ব্লগের নামকরণের জন্য Namecheap.com থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছি।

সুতরাং, আপনি যদি অনলাইনে একটি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য মনস্থির করে থাকেন তবে অবশ্যই সবার আগে আপনাকে একটি ভালো ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রার এর কাছ থেকে ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রশন করে নিতে হবে।

এরপর আপনার ডোমেইনটি হোস্ট করার জন্য –

২। একটি ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে ওয়েব হোস্টিং স্পেস বা জায়গা কিনুন।

আমাদের বিবেচনায়,

বাংলাদেশের সেরা ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদাণকারী প্রতিষ্ঠান

ExonHost – সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল পরিচালিত, নির্ভরযোগ্য ও দ্রুতগতি সম্পন্ন ওয়েবসাইট হোস্টিং সেবা প্রদাণকারী প্রতিষ্ঠান।

Swapnilbangla.com Recommended Best Web Hosting Provider of Bangladesh.

এক্সনহোস্ট এর সুবিধাসমূহ-

ExonHost এর যে কোন সার্ভিস বা প্রোডাক্ট আপনি ইচ্ছে করলে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বিকাশ, রকেট অথবা অন্য যে কোন মোবাইল ফাইনান্সিয়াল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কিনতে পারবেন। অথবা, অনলাইন ব্যাংকিং, পেপাল অথবা মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড ব্যবহার করেও অনলাইনে বিশ্বের যে কোন দেশ বা অবস্থান থেকে কিনে নিত‌ে পারবেন।

গড়ে ৯৯.৯% আপটাইম গ্যারান্টি প্রদাণের নিশ্চয়তা।

যে কোন সমস্যায় পাবেন ২৪ ঘন্টা – সপ্তাহে ৭ দিন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সার্বক্ষণিক কাস্টমার সার্ভিস সেবা।

আপনার ওয়েব হোস্টিং, ব্লগ সেটাপ, সিকিউরিটি ও ম্যাইনটেনেন্স বিষয়ক যে কোন সমস্যা দ্রুত সমাধানের নিশ্চয়তা প্রদাণে সক্ষম দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাপোর্ট টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ার এর সার্বক্ষনিক প্রাপ্যতা।

যা কিনা যে কোন নামী বিদেশী কোম্পানির পক্ষে প্রদাণ করা অসম্ভব। কেননা অতিরিক্ত গ্রাহক চাহিদার কারণে তাদের হেল্পলাইন, কাস্টমার সার্ভিস ও হেল্প টেকনিশিয়ান সব সময়ই ব্যস্ত থাকেন। ফলশ্রুতিতে যে কোন সাধারণ সমস্যার সমাধানের জন্য অধিকাংশ সময়ই ২৪ ঘন্টা, এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ২ – ৩ দিন অপেক্ষা করেও সমাধান করা সম্ভব হয় না।

সাশ্রয়ী মূল্য- ২৪৫ টাকা / মাস বা ২২৫০ টাকা / বৎসর অর্থাৎ প্রতি মাসে মাত্র ২৪৫ টাকা পরিশোধ করে আপনি ৫ জিবি SSD হোস্টিং ২৫০ জিবি মাসিক ব্যান্ডউইথসহ কিনতে পারবেন। কেনার সময় অবশ্যই “Coupon Code: ExonLove” ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনি উপরে প্রদর্শিত মূল্যে ExonHost Starter প্যাকেজটি কিনতে পারবেন।

অন্যান্য প্যাকেজসমূহও বাজার মূল্যের তুলনায় প্রতিযোগীতামূলক মূল্যেই নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়াও একই মূল্যে আরও যা পাবেন-

একসাথে ২টি ওয়েবসাইট হোস্ট করার সুবিধা।

ফ্রি সাইট ট্রান্সফার সেবা।

ফ্রি অটো ইন্সটলার।

ওয়ার্ডপ্রেস অপ্টিমাইজড সার্ভার।

১ বছরের জন্য ১টি ফ্রি ডোমেইন নেম।

আপনার বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ কেনার জন্য-


বিস্তারিত জানতে পড়ুন- বাংলাদেশের সেরা ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি – ExonHost Hosting Review 2024

আরও পড়ুন –

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রেষ্ঠ ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে আপনার প্রয়োজন ও বরাদ্দকৃত বাজেটের প্রতি লক্ষ্য রেখে নিচে উল্লেখিত প্রধান ৩টি হোস্টিং প্রোভাইডার এর কাছ থেকে ওয়েবস্পেস কেনার ব্যাপারটা বিবেচনা করে দেখতে পারেন।

  1. Bluehost.Com (ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান)
  2. HostGator.Com (উচ্চ মানসম্পন্ন দ্রুতগতির ওয়েবসাইট হোস্টিং প্রতিষ্ঠান)
  3. Hostinger.Com (সাশ্রয়ী মূল্যে অত্যন্ত দ্রুতগতির ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস প্রদাণকারী প্রতিষ্ঠান)

প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন –

সর্বোচ্চ সুরক্ষা, সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র আইপি এড্রেস (Unique IP Address – সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় একটি ওয়েব এড্রেস), গতি ও পারফর্মেন্স এর জন্য IT Nut VPS Hosting Service নিতে পারেন।

৩। একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন (ওয়ার্ডপ্রেস বা সিএমএস)।

হোস্টিং সার্ভিস কেনার পর যে কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হচ্ছে ওয়েব হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেলে লগইন করে সফট্যাকুলাস অটো ইনস্টলার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার হোস্টিং স্পেস এর রুট ফোল্ডারে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে নিন।

কিভাবে সফট্যাকুলাস ব্যবহার করে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা যায় তার উপর অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল আর্টিকেল ও ভিডিও পাওয়া যায়।

আপনি গুগল ও ইউটিউব সার্চ করে তেমন একটি টিউটোরিয়াল খুঁজে শিখে নিতে পারেন অথবা আমাকে সাহায্যের জন্য সুযোগ দিতে পারেন।

সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ আপনার।

৪। আপনার ব্লগ তৈরি করার বিষয়বস্তু বা নিস নির্ধারণ করুন।

অনলাইনে ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনপ্রিয় এবং একই সঙ্গে প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ব্লগ তৈরি করা।

এখানে চাহিদা বলতে সেই সমস্ত বিষয়কে বোঝানো হয়েছে যেগুলো প্রধানত প্রচুর দর্শক আকৃষ্ট করতে পারে।

আপনি কি বিষয় বেছে নেবেন তা নির্ভর করবে সে বিষয়টি সম্বন্ধে আপনি কতটুকু জানেন এবং বুঝেন তার উপর।

কেননা আপনার জানা বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগে তথ্য সমৃদ্ধ লেখা প্রকাশ করতে সক্ষম না হলে সেই লেখা পড়ার জন্য দর্শক মনে আগ্রহ সৃষ্টি হবে না।

আর দর্শক আপনার ব্লগ ভিজিট করে তার জন্য উপকারী কোন তথ্য খুঁজে না পেলে পরবর্তীতে সে আর আপনার ব্লগে ভিজিট করবেনা।

ফলশ্রুতিতে ব্লগ তৈরি করে আয় করার ইচ্ছা মরীচিকা হয়েই থাকবে।

ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপযোগী কয়েকটি জনপ্রিয় বিষয় বা নিস

  • লাইফস্টাইল
  • বিনোদন
  • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • খেলাধুলা
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
  • মোবাইল ও টেলিকমিউনিকেশন
  • অনলাইনে আয়
  • চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা
  • মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা
  • ওজন বৃদ্ধি ও কমানোর উপায়, ইত্যাদি।

ব্লগ কিভাবে সাজাবো?

৫। আপনার ব্লগ ডিজাইন করার জন্য বিষয়বস্তুর সাথে মানানসই একটি থিম নির্বাচন করুন।

আপনি আপনার ব্লগটি যতটা সুন্দর করে সাজাতে পারবেন ঠিক ততটাই তা দর্শক মনে দাগ কাটতে সক্ষম হবে। কথায় আছে না-

আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী।

এরজন্য আপনাকে একটি ভালো মানের ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম কিনে তা ব্লগে ব্যবহার করতে হবে।

একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় প্রিমিয়াম থিম কিনতে বড়জোর ৩০ থেকে ৬০ ডলার খরচ করতে হতে পারে।

আমার বিবেচনায় সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সয়ংসম্পূর্ণ প্রিমিয়াম থিম যা নিশ্চিন্তে যে কোন ধরণের ব্যাক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যবহার করা যায়-

#1. Astra

#2. GeneratePress

আপনি ইচ্ছে করলে নিচে প্রদর্শিত ThemeForest সরবরাহকৃত বিজ্ঞাপন থেকে আপনার ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে মানানসই একটি প্রিমিয়াম থিম কিনে ব্যবহার করতে পারবেন।

৬। আপনার অপরিহার্য পেজ তৈরি করুন। যেমন- লেখক সম্পর্কিত – About, যোগাযোগ – Contact, ওয়েবসাইট বা ব্লগ ব্যবহার বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা – Privacy Policy, প্রয়োজনীয় ঘোষণা সম্পর্কিত, e.g. Affiliate Disclaimer, ইত্যাদি)।
৭। আপনার বিষয়বস্তু বিভাগ বা ক্যাটাগরি অনুসারে সাজিয়ে নিন।
৮। একটি নিয়মিত প্রকাশনা সময়সূচী নির্ধারন করুন।
৯। ব্লগে ব্যবহার করার জন্য ছবি এবং লোগো ডিজাইন করে নিন ও ব্যবহার করুন।
১০। ব্লগে নিয়মিত তথ্যপূর্ণ লেখা প্রকাশ করুন এবং আপনার লেখা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) অথবা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) করে দর্শক বৃদ্ধি করুন।

প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার বিভিন্ন উপায়

কিভাবে ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়?
কিভাবে ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়?

১১। আপনার ব্লগ দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠলে উক্ত ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও অন্যান্য কিছু উপায় বা পদ্ধতি প্রয়োগ করে টাকা আয় করা শুরু করুন।

অন্যান্য উপায়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার পদ্ধতি

উপরে উল্লেখিত অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়াও অন্যান্য কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করে ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়। নিচে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যমের কথা উল্লেখ করা হলো।

#১ ইবুক বা টিউটোরিয়াল উপকরণ বিক্রি করে

আপনি ইচ্ছে করলে আপনার ব্লগে বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল ইবুক তৈরি করার পর তা বিক্রি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়- ধরে নিন, ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে আপনি এমন অনেক কিছু জানেন যা এই ব্যবসায় নতুনদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। আপনি আপনার জানা সমস্ত কিছু একটি ইবুক আকারে তৈরি করে তা আপনার ব্লগে বিভিন্ন প্লাগইনস বা টুলস যেমন- Thrive Leads ব্যবহার করে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারবেন।

#২ মূল্য সংযোজনকৃত সেবা প্রদানের মাধ্যমে

ব্লগ ব্যবহার করে আপনি আপনার দ্বারা প্রদানযোগ্য বিভিন্ন মূল্য সংযোজনকৃত সেবা প্রচার করে, তা ক্রয় করার জন্য দর্শককে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করে টাকা আয় করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরুপ বলা যায়- আপনি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভালমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ ডেভালপমেন্ট, থিম ডেভালপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন, প্লাগইন ডেভালেপমেন্ট প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকলে ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ব্লগ তৈরি করে আপনার কাজের কিছু প্রমাণ তাতে প্রদর্শন করার মাধ্যমে দর্শক আকৃষ্ট করে আপনার সেবা গ্রহণের জন্য তাদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন।

এতে করে আপনার দর্শকরাই একটা সময়ে আপনাকে দিয়ে তাদের বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য যোগাযোগ করবে।

এছাড়া, অনলাইন কনসাল্টেন্সি, আইন ও চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ, বিভিন্ন সমস্যার সমধান প্রদান বিষয়ক সেবা, মোবাইল ও তথ্য প্রযুক্তিগত সমস্যা প্রদান বিষয়ক সেবা প্রভৃতি বিষয়ের উপর ব্লগ তৈরি করে আয় করার বিস্তৃত সম্ভাবনা রয়েছে।

#৩ সরাসরি খাদ্য বা পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়

বর্তমানে ইকমার্স ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় একটি অনলাইন ব্যবসার মাধ্যম। অ্যামাজন, আলিবাবা, ভারতে ফ্লিপকার্ট, বাংলাদেশে দারাজ, ফুডপান্ডা তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। আপনিও ইচ্ছে করলে আপনার ব্লগটিকে একটি ইকমার্স সাইট হিসেবে তৈরি করে তাতে সরাসরি খাদ্য অথবা পণ্য বিক্রি করে অনলাইনে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

#৪ অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে

আপনি Udemy এর নাম শুনেছেন। বর্তমানে উইডেমি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১ লক্ষাধিক অনলাইন কোর্স তারা প্রদান করে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে।

স্বপ্ন দেখলে একটু বড়সড়ই দেখুন না কেন? অন্তত Udemy না হোক, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপযোগী বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনলাইনে কিছু একটা তো করা যেতেই পারে। বলা বাহুল্য এতে লাভের সম্ভাবনাও প্রচুর।

#৫ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ড্রপসিপিং ব্যবসা করে আয়

ড্রপসিপিং ব্যবসা হচ্ছে- কোন পণ্য সরাসরি উৎপাদক বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে কিনে তা ক্রেতার কাছে বিক্রয় মূল্যে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভের সম্পূর্ণ অংশ গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করা।

এখানে উল্লেখ্য যে, এই ব্যবসায় প্রফিট মার্জিনটা একটু বেশী থাকে। কেননা, এক্ষেত্রে একটি পণ্যের উৎপাদন খরচ এর সাথে ডিলার নিয়োগ, মজুতদার, বিজ্ঞাপন তথা প্রচার প্রচারণার খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যুক্ত থাকেনা।

একজন ড্রপসিপিং ব্যবসায়ী শুধুমাত্র উৎপাদন খরচ পণ্য প্রস্তুতকারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করে ঐ পণ্যের বাজারমূল্যেই তা ব্লগে বিক্রি করে লভ্যাংশের সম্পূর্ণটাই নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে তাকে পণ্য মজুদ করারও প্রয়োজন হয় না। সরাসরি ক্রেতার কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে পণ্য বিক্রেতার কাছে অর্ডারটি সাবমিট করতে হয়। পণ্য উৎপাদনকারী নিজেরাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেলেভারীর ব্যবস্থা করে থাকেন।

বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ ইকমার্স ব্যবসায়ী এই ড্রপসিপিং ব্যবসার মাধ্যমেই তাদের ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি করে যাচ্ছেন।

#৬ ব্লগে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করে

আপনার ব্লগ দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠলে অর্থাৎ ব্লগে নিয়মিত প্রচুর সংখ্যক ভিজিটর আসলে ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে মানানসই বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার প্রচারণার জন্য ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন।

এক্ষেত্রে, তাদের পক্ষ থেকে আপনার ব্লগে তাদের পণ্যের বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য একটা ভালো অংকের টাকা মাসিক বা বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রদান করার অফার আসতে পারে।

অথবা, আপনার ব্লগের মার্কেট ভ্যালু যাচাই করে আপনি নিজেই একটা নির্দিষ্ট চার্জ ধার্য করে তাদের সাথে আল‌োচনা করি বিষয়টি সমাধান করতে পারেন।

এছাড়া, আপনি ইচ্ছে করলে আপনার ব্লগের কিছু অংশ বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যেমন- ByeSellAds.Com এর মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাড়া দিয়ে খুব ভালো অংকের একটা টাকা আয় করতে পারবেন।

#৭ বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা ও বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য স্পন্সর আর্টিকেল বা রিভিউ লিখে তা ব্লগে প্রকাশ করে

বিজ্ঞাপন প্রচারের মতই আর একটি কৌশলে ব্লগ তৈরি করে আয় করার পদ্ধতি হচ্ছে- স্পন্সর বা রিভিউ আর্টিকেল প্রকাশ করে আয়।

এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্পন্সর বা রিভিউ আর্টিকেল লিখে আপনি সরাসরি ঐ পণ্য প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে সম্মানি নিয়ে আয় করতে পারেন অথবা আপনার ব্লগে তাদের পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক আপনার স্পন্সর বা রিভিউ আর্টিকেলে যুক্ত করে এবং বিক্রি করে কমিশন গ্রহণ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

#৮ সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা ব্লগ বিক্রি করে

একটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করা ব্লগ অথবা সফলতার সাথে পরিচালিত লাভের মুখ দেখা চলমান ব্লগ বিক্রি করেও আপনি আপনার ধারণার চাইতেও অনেক বেশী টাকা আয় করতে পারবেন। ক্ষেত্র বিশেষে আপনার ব্লগের মাসিক আয়ের ১০ গুণ বেশী মূল্যে বিক্রি করে টাকা আয় করা সম্ভব হতে পারে। একে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং ব্যবসা বলে।

বর্তমানে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং ব্যবসা প্রচুর জনপ্রিয় ও লাভজনক একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আপনিও ইচ্ছে করলে একটি তথ্যসমৃদ্ধ অথবা অ্যামাজন নিস সাইট তৈরি করে তা ফ্লিপিং বা বিক্রি করে আয় করার সুযোগ নিতে পারেন। এ ব্যপারে কোন সাহায্য বা সহযোগীতার প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করি নিরাশ হবেন না।

#৯ ছবি, ভিডিও বা স্বল্পদৈর্ঘ্য বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্র, ভাস্কর্য বা শিল্পকর্ম বিক্রি করে

আপনি যদি একজন দক্ষ শিল্পী বা ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনে সক্ষম ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার ব্লগকে শিল্পকর্ম বিক্রির জন্য ব্যবহার করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এছাড়া, ভিডিও এডিটিং, ২D অথবা 3D অ্যানিমেশন মেকিং, অটোক্যাড, 3D Studio Max প্রভৃতি সফটওয়্যার এর কাজ জানা থাকলে ব্লগ ব্যবহার করে আপনার দক্ষতার বিবরণ ও কিছু নমুনা সদৃশ ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন।

এতে করে সাধারণ প্রয়োজনে অথবা ইউটিউবের জন্য ভিডিও / অ্যানিমেশন / স্ট্রাকচারাল ডিজাইন তৈরি করতে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে ও প্রয়োজনে আপনাকে আকর্ষণীয় সম্মানীর বিনিময়ে তাদের কাজ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে।

এ প্রক্রিয়ায় আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিডিও বা তথ্যচিত্র তৈরি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার শিল্পকর্ম অথবা ডিজাইন সংশ্লিষ্ট কাজকে আপনার ব্লগে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে ঠিক ইকমার্স বিজনেস এর মত করেই মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। এটি নির্ভর করবে আপনার কর্ম দক্ষতা ও কাজের বাজার চাহিদার উপর।

#১০ বিষয় ভিত্তিক ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করে

ব্লগে নির্দিষ্ট বিষয় ভিত্তিক ভিডিও টিউটোরিয়ালস আর্টিকেলের মধ্যে সুবিন্যস্ত ও সঠিকভাবে প্রকাশ করে তাতে ঐ টিউটোরিয়ালস এর বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করে দিতে পারেন।

এতে করে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ধারাবাহিক ভিডিও টিউটোরিয়ালস নিয়মিত প্রকাশ করা হলে সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপনার ব্লগের ভিজিটর ও সাবস্ক্রাইবার যেমন বাড়বে। ঠিক একইভাবে ব্লগের নিয়মিত ভিজিটরকে পুঁজি করে ভিডিওগুলোর জন্য ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে তাতে আপলোড ও মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে আয় করার পথটিও সুগম করে নিতে পারবেন।

উদাহরণস্বরুপ- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও (SEO) বিষয়ক বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্লগ NShamim.Com এর কথাই ধরুন। এসইও এর খুঁটিনাটি তথা সাধারণ থেকে জটিল বিষয়ে এই ব্লগে যেমন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি আর্টিকেলে একটি করে ইউটিউবে হোস্ট করা ভিডিও টিউটোরিয়ালস এমবেড করে দেয়া হয়েছে।

এতে করে ব্লগের দর্শকরাই কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরবর্তিতে তাদের ইউটিউব চ্যানেলকে সমৃদ্ধ ও অত্যন্ত লাভজনক একটি চ্যানেলে পরিণত করেছে।

এছাড়া, ব্লগটি ব্যবহার করে নাসির উদ্দিন শামিম ভাই প্রফেশনাল অনলাইন কোর্স পরিচালনা করেও প্রচুর টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছেন এবং হচ্ছেনও বটে।

এবার নিজেকে প্রশ্ন করার পালা।

এরা সবাই ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারলে আপনি পারবেন না কেন? উত্তর খোঁজার চেষ্টা কিন্তু ভাই আপনাকেই করে নিতে হবে। প্রয়োজনে যে কোন প্রকার সাহায্যের জন্য আমরা তো আছিই।

আজ এ পর্যন্তই। ব্লগ ডিজাইন টিউটোরিয়াল এর আগামী পর্বগুলোতে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো নিয়ে আরো কিছু লেখা প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ করছি।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ না করে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার এর সাহায্য নিয়ে ব্লগ ডিজাইন করে নিতে চান তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আমরা অত্যন্ত স্বল্প খরচে আপনার ব্লগ ডিজাইন করে দিতে সক্ষম।

ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা সম্পর্কিত লেখাটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আশা করি খুব দ্রুত উত্তর পাবেন।