যারা একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়তে ভালোবাসে এই ছোটগল্পখানা আমি তাদের জন্যে লিখেছি। যাদের ধৈর্য্য নেই তারা লেখার মানে বুঝতে পারে না। আসুন শুরু করি।
আমার জীবনের প্রথম লেখা
হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা দেওয়ার পর স্কুল থেকে পিকনিকে যাওয়ার আয়োজন হলো। আমিও গেলাম পিকনিকে। আমার বন্ধু-বান্ধবী ও স্যার সবাই যাওয়ার জন্যে দুটি বাস ভাড়া করা হলো। আমি বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে গ্রামের দৃশ্য দেখছিলাম এমন সময় মুনছুর স্যার বলে উঠলো মাথা বের করো না। এতে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাসে থাকা সকল বান্ধবীরা বমি করছে। এটা দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল। তাই দেরি না করে অন্য বাসে উঠে পরলাম।
সে বাসে সাত বা আট হবে এমন বয়সের একটি ছেলে বাদাম বিক্রি করছে। বাদল স্যার আমাদের সবাইকে বাদাম কিনে দিলেন। ছেলেটার পড়নে ছিল পাঞ্জাবি পায়জামা। মাথায় ছিল একটা সাদা টুপি। বুঝতে কষ্ট হলো না সে মাদ্রাসার ছাত্র। ছেলেটিকে একটি ২০ টাকার নোট দেওয়ার জন্যে হাত বাড়ালাম। কিন্তু সে টাকাটা নিল না। সে আমাকে বললো যদি বাদাম নেন তাহলে টাকা নিব নয়তবা নিব না। আমার খুব অভিমান হলো। কারণ এই ঘটনার জন্যে বাসের সকল স্টুডেন্ট আমার দিকে তাকিয়ে দাত গুলো বের করে হি-হি-হি করছিল। রাগে রিতুর সাথে বলছিলাম দেখলি, ছেলেটা খুব অহংকারী। টাকা দিলাম সে মুখের উপর না করে দিল। এই জন্যেই লোকে বলে “বাবু মরে শীতে আর ভাতে”। গরীব থাকা সত্বেও অহংকার করে।
আমার ধরনা তখনি পাল্টে গেলো যখন ঋতু আমার বিপক্ষে বললো – দূর পাগলী ও অহংকারী নয় ও একটা মাদ্রাসার ছাত্র তাই বিনা কারনে টাকা নেয় নি। এটা তার সততা কিন্তু অহংকার নয়। তাদের কখন অহংকার থাকে না। হয়তো তুই সেই হাদিস টা ভুলে গেছিস “যারা মানুষের কাছে হাত পাতে, আল্লাহ তাদের অভাবের দরজা খুলে দেন” এবার আমি বুঝতে পেরেছি ছেলেটা কেন টাকা নেয়নি।
তারপরে বাস থেকে নেমে ঋতুকে বলতে শুরু করলাম, ভেবেছিলাম বাসে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হবে কিন্তু কোথায় কিছু তো হলো না। শুধু দেখলাম বমি আর বমি, কেউ বমি করতে শুরু করলে সামনে থেকে পিছন পর্যন্ত বমি শুরু করে দেয় মেয়েরা ।
একটু এগিয়ে যেতেই শুনতে পেলাম একটা ডাক “বুবুজান”। বুবুজান শব্দটা শুনতে খুবই পরিচিত লাগছিল। সেই সাথে সেই কণ্ঠস্বর আমার খুব চেনা। দেখার চেষ্টা করলাম কে ডাকছে আমাকে। হঠাৎ করেই পিচ্চি একটা মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আরে এতো লতা। আজ ৪ বছর পরে তার সাথে দেখা। অনেক পরিবর্তন হয়েগেছে। লতার সাথে আমার সম্পর্ক কি তা আমি পরে বলছি।
তবে তার আগে আমি আরেকটা ঘটনা বলি। একদিন এক অন্ধ বৃদ্ধ লোক রাস্তার কিনার দিয়ে যাচ্ছিল। আরেকটু কিনারায় চলে গেলে পুকুরে পরে যাবে আমি নিশ্চিত। তাই আমি দ্রত অন্ধ বৃদ্ধ লোকটাকে হাত ধরে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে আসলাম। এমন্তাবস্থায় লোকটি আমাকে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করলো। যেহেতু অন্ধ বলে আঘাত করতে পারেনি।
তিনি বললেন, আমি যাচ্ছি প্রস্রাব করতে তুই আমারে কই লইয়া যাস? সেদিন ঠিক করলাম আমার ঘাট হয়েছে। আর অসহায় মানুষ কে সাহায্যের কথা মুখে আনবো না। যাই করি তাই দেখি উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। দুর দুর করে চলে গেলাম।
ঠিক তখনি লতা আমার জীবনে আসলো। লতা আসার পর থেকেই আমার শখ মানুষকে সাহায্য করা। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরার পথে লতার বাসা ছিল। লতা বয়স তখন ৬। আমরা বাড়ি ফিরার পথে লতা আমাদের বিরক্ত করা শুরু করলো। যেমন সে পুকুরে গোসল করতো। আমরা যখন রাস্তায় চলাচল করতাম ঠিক তখনি পুকুরের পানি দিয়ে আমাদের ভিজিয়ে দিতো। ছোট হলে কি হবে তার সাথেও ছোটকে-পুচকে বন্ধুরা আছে। তাদের নেতা সে ছিল। তাদের কে নির্দেশ দিতো আমাদের ভিজিয়ে দিওয়ার জন্যে। তারা সকলেই মিলে আমাকে ভিজিয়ে দিত। একদিন তো খাবারের এটো পানি জানালা দিয়ে নাবিলার শরীরে ফেলে দিয়েছিল। তা দেখে আমার শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
আমার জীবনে এই মেয়েটার মতো পাজি, দুষ্টু, বদমাইশ, লংঙ্কর দেখি নি। প্রতিদিন লাঠি নিয়ে তেরে আসতো আমাদের মারার জন্যে। অবশ্য আমরাও এতো মহা আনন্দ পেতাম। একদিন তাকে আমি ৫ টাকা ঘুষ দিব ভাবছি, শর্ত এই যে, আমাকে কিছু করবে না। আমার সাথের বন্ধুদের পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিবে । কিন্তু এট ছিল মুখের বলা বুলি মাত্র। কখনো এই কথা বাস্তবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার সামনে দিয়ে যাব তো দুরের কথা ৩০ হাত দুর থেকেই দিতাম দৌড়।
একদিন সকালে ঐ পথ দিয়ে যাবার পথে তাকিয়ে দেখলাম ভাঙ্গা-চুরা একটা ঘরের জানালা দিয়ে একটা কালো ফুল ফুটে আছে দেখা যায়। বিষয়টা দেখতে কাছে গিয়ে দেখি এটা ফুল তো না, এটা পিচ্চি লংকর মেয়েটির মুখ। তার গায়ে একটু চিমটি দিয়ে ৫ টাকা ধরিয়ে দিলাম। আর জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার নাম কি? সে বললো আমার নাম লতা।
একদিন শরীরটা ভালো ছিল না তাই ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরছিলাম পিছন থেকে আওয়াজ আসলো- এই ছ্যাড়ি, এই ছ্যাড়ি!! পিছনে তাকিয়ে দেখি রোগা-পটকা শরীর, পিঠ পর্যন্ত এলোমেলো চুল ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে আছে পিচ্চি। ছোট্ট একটা মেয়ে পোশাক দেখে মনে হচ্ছে বয়স হবে ৩০। সব বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে দেখি এটা তো লতা। তুমি আমাকে যে ৫ টাকা দিছ তা দিয়ে আমি এই পেন্সিল কিনেছি। আমি তো এই বাচ্চা মেয়ের কথা শোনে অবাক। মেয়েটা কি বলে! তারা অনেক গরীব। দু-বেলা ঠিক-ঠাক মতো খেতে পারে না। বাবা নেই। মা অন্য মানুষের বাসায় কাজ করে। পড়ালেখার জন্যে পেন্সিল কিনেছে। আমি তার জায়গায় থাকলে তো টাকাটি পেটে চালান করে দিতাম । টাকা দেওয়ার পরে থেকে কোন দিন সে দুষ্টামী করে নি। আমি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি মাত্র পাচঁ টাকা একজন মানুষের আচরন পরিবর্তন করে দিতে পারে।
আমি একদিন তাকে সালাম শিখিয়েছিলাম। এর পর থেকে সব সময় আমাকে সালাম দিত। আমি কখনোই সুযোগ পাইনি তাকে আগে সালাম দিতে । চিপা-চাপা, ওলি-গলি দিয়ে সে সব সময় তার ছোট্ট দেহটাকে লুকিয়ে সালাম দিত। এই ভাবে চলতে থাকে দিনকাল । একদিন এসে আমাকে বললো বুবুজান, তোমার বাড়ি যেতে চাই। সাথে বন্ধুরা ছিল তাই না করি নি। সে আমার সাথে হাটছে। আমি তার থেকে একটু দূরে হাটছি। যেন কেউ দেখে না বুঝতে পারে সে আমার সাথেই আমার বাড়িতে যাচ্ছে।
সে ছিড়া একটা জামা পরে ছিল। শুধু ছিড়া না, ময়লাও বটে। মনে মনে তার কালো দেহ দেখে ঘৃনা হচ্ছিল । সেই সাথে নিজের সাদা চামড়া নিয়ে অহংকার সৃষ্টি হয়েছিল। আমি জোর করে অহংকারকে দূর করে তার হাতে হাত রেখে বাড়িতে ঢুকেছি। আম্মু খুবি আন্তরিক। খুব ভালোবেসে তাকে খেতে দিয়েছে। কিন্তু সে ভয়ে কিছুই ভালো করে খেতে পারলো না। ফিরার পথে লতাকে ঘরে থাকা সাবান, কিছু পুরাতন কাপই দিয়ে দেয় আম্মু। তা দেখে ঈদের আগে উঠা চাঁদের মতো মুছকি হাসি দিয়ে হাতে নিল সে। এ গুলো তার মাকে দেখিয়েছে। তার মা এসব দেখে বলে উঠলো- ইস, আমি যদি তোর বান্ধবীর বাসায় যেতাম তাহলে তো অনেক কিছু আমাকেও দিতো!!!
তার মায়ের বলা কথাটা লতা আমাকে জানায় । প্রথমে আমি খুব হেসে ছিলাম এই রাস্তায় পুঁচকে মেয়েটা নাকি আমার বান্ধবী! মদিনা বলছে- কিরে এই মেয়েটা কি হয় তোর? বুবুজান বলে ডাকছে কেন? আমি উত্তর দিলাম আমার ছোট বোন। এখন সে আমার বান্ধবী না বরং বোন বলে পরিচয় দেই সবাইকে। ৫ বছর পরে সে অনেক বড় হয়েছে। সে তো আমাকে বললো পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। পাশাপাশি ফুল সহ কসমেট্রিকস বিক্রি করে। তার রোল জানতে চাইলে উত্তরে মাথা নিচু করে বললো- রোল ৭।
আমি তাদেরকে সাহায্য করতে চাই না, যারা ভালো চোখে কালো চশমা পড়ে অন্ধ হয়ে সাহায্য করে। আমি তাদের কেও সাহায্য করতে চাই না যারা হাতে ৫ শত টাকা রেখেও সকালের নাস্তা করতে চায় বা একবার খেয়েও এক লোকের কাছে দ্বিতীবার আহার করার টাকা চায়। আপনি কি তাদের সাহায্য করতে চান? যারা পর লোকের আহত ছবি নিয়ে এসে নিজের স্বামী বা ছেলে বলে পরিচয় দেয়। এদের মধ্যে এমনও আছে যারা একজন আরেকজনকে ফোন করে বলে, আমি এই মহল্লায় আছি, তোরা স্টেশনের দিকটা সামলা।
আজ এদের জন্যে প্রকৃত অর্থে যারা অসহায় তারা সাহায্য পায় না। দোষ হচ্ছে সময়ের।
যদি বলি ১৯৪০ সালের কথা। সে সময় তাদের মাঝে লেখাপড়া নিয়ে কোন প্রতিযোগিতা ছিল না। প্রতিযোগিতা ছিল, কে কার থেকে বেশী ধান, মাছ উৎপাদন করতে পারে। গোয়াল ভরা গরু ছিল মানুষের সম্মানের প্রতীক। তারাই বেশী সম্মানীয় ছিল যারা অর্থের দিক দিয়ে না হয়ে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারতো।
দিন পাল্টে গেছে ৬৫ দিকে। ওরা তো সবে মাত্র শিক্ষার জগতের দিকে হাত বাড়িয়েছে। কেউ লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে, আর কেউ পায়নি। যারা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে, তারা সমাজে উচ্চ স্থান দখল করতো। যারা অর্থের কারণে শিক্ষা অর্জন করতে পারে নি তারা কি হাল ছেড়ে দিয়েছিল? না, ওরা জানতো সময় পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। লেখাপড়া করিনি তাতে কি হয়ছে? বাবার সাথে কৃষি কাজ তো শিখতে পারবো। যাকে বলে হাতে হাতে শেখা শিক্ষা। তাদের জীবনে কিছু করুক বা না করুন কখনো কারো কাছে হাত পাতেনি। কেন হাত পেতে সাহায্য চাইতে যাবে? তারা তো কৃষি কাজ করতো জানতো। ফসল ফলিয়েছে। স্বাবলম্বী জীবন যাপন করেছে। কোন দুঃচিন্তা ছিল না তাদের জীবনে।
তার পরের প্রজন্ম ধরা যায় ১৯৯২-২০০১। এখানে তো বেশ প্রতিযোগিতার ময়দান তৈরী হয়েছে। ওরা নাকি আধুতিকতার মশাল হয়ে জন্মেছে। তারা আধুনিক ও মান-সম্মান ব্যতিত কিছু বুঝে না। অতি আধুনিকতায় তাদের নাম যথাক্রমে সুফিয়া থেকে সাফি, রমিসা থেকে রাফসি, হয়ে গেছে। আমি তো একজনকে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম যে, তোমার নাম কি? উত্তরে আসলো রাফি। হতভাগ হয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বুঝতে পারলাম রাফি এসেছে পুরাতন রফিকুল নাম থেকে। তাই তাকে আবার প্রশ্ন করলাম তাহলে রফিকুল কার নাম? আবার উত্তর আসলো, রফিকুল বাপ-চাচার নাম। এসব নাম আধুনিক যুগে মানায় না। তাতে বুঝা যায় সে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে।
আপনি কি ১৯৯২ সালেন পরের পরিস্থতি দেখেছেন? কৃষকের ছেলে কৃষক, কুলির ছেলে কুলি এবং দিনমজুর চাষার ছেলে চাষা হয়েছে? না, আপনি দেখতে পারবেন না। কেন জানেন? কারন তারা যে আধুনিক ছেলে! তারা বাপের ভিটা-জমি বিক্রি করে চাকুরী করতে চায় । কারন, তারা আধুনিক!
আপনি কী আধুনিক বাপ-চাচার গল্প শুনতে চান? আপনি যদি পাত্রের জন্য কণ্যা দেখতে চান তাহলে কণ্যের বাড়ি থেকে প্রথম প্রশ্ন আসবে, ছেলে কি সরকারি চাকুরীজীবি? কপাল যদি খারাপ থাকে অর্থাৎ সরকারি চাকুরীজীবি যদি ছেলে না থাকে তাহলে ঐ মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব তো দুরের কথা ঘরে নিয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে দিবে না। মেয়ের পরিবার জানে ছেলে শিক্ষত আধুনিক বেকার। ওরা চাকুরী ছাড়া সব কাজ করতে লজ্জাবোধ করে।
যাই হোক এটা তো বললাম শিক্ষিত যুবকের কথা। যারা নিরক্ষর, তারা তো আরো আধুনিক। লেখাপড়াও করে নি, বাবার সাথে চাষ করতেও যায় নি। এখন এমন অবস্থায় আছে, না পারে চাষ করতে, না পারে উচ্চস্থানে চাকুরী করতে। উপায় একটি বাবা জমি বিক্রি কর। প্রয়োজনে ভিটা বিক্রয় কর, আমি বিদেশ যাব। দেশে থাকলে কিছু করতে পারবো না।
প্রশ্ন আসতেই পারে- দিনমজুর, রিক্সা চালক, ঝাল মুড়ি বিক্রেতা বিয়ে করে না? হ্যা করে তো। তারা তাদের শ্রেনির সমাজের সাথে খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে নিয়ে বিয়ে করছে। তবে সেখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়। ছেলের বাপের জমি থাক বা না থাক, ছেলে রিক্সা চালায় নাকি ভ্যান চালায় তাতে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। কর্মের সাথে জরিত থাকলেই বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বেশ ভালোই দিন চলে যায়। বিপরীত পাশে শিক্ষিত আধুনিক বেকাদের বিয়ে করতে গেলেও সমস্যা হয়। বেশ চিন্তার বিষয়।
দেশের আগে ডিজিটাল শব্দটা বসিয়ে দিলেই দেশ ডিজিটাল হয়ে যায় না। ডিজিটাল তো সেই দিন হবে যেদিন একটা বেকার যুবক থাকবে না। শিক্ষিত হয়েও কাজ কে ছোট মনে না করা। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্যে সরকারী চাকুরী জীবি না খুঁজে কর্মের সাথে জড়িৎ ছেলেদের বেছে নেওয়া।
সেই দিন আমরা বেকারত্ব দূর করতে পারবো যেদিন আবার আগের মতো পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান থাকবে। জাগো বাঙালী! লাইটার দিয়ে নয়, হারিকেন দিয়ে ১৯৪০ সাল খোঁজ।
ডিজিটাল হতে চাও ? নামকে নয় কাজ কে আধুনিক কর। শিক্ষিত বেকার হয়ে না থেকে শিক্ষিত রিক্সা চালক হও। তাহলেও তোমার মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। আজ তুমি সচেতন হও। কাল আমি হবো। একদিন দেখবে দেশে ছোট-বড় কাজ বলে কিছু থাকবে না।
আমি এমন দেখেছি সমাজের উচ্চস্থানে ব্যক্তির সন্তানদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। কিন্তু নূন আনতে পান্তা ফুরোয় এমন লোকের মেয়ে উপবৃত্তি পায় না। যাদের বণ্টন করার জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয়, তারা নিজের অংশ আগে রেখে পরে নীরে পরে থাকা অংশ নামমাত্র বিতরণ করে। ওরা ধনী হয়েও গরীবের থেকে নিচু মন মানসিকতা নিয়ে উচ্চস্থানে বসে আছে।
আমি আজ লতার মতো গরিব শিশুদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। বেকারের অভিশাপ থেকে শিক্ষিতদের মুক্ত করতে চাই। আমি দেখতে চাই সেই ১৯৪০কে।
“প্রজন্ম-১৯৪০”
লেখক: সাদিয়া ইসলাম ছোঁয়া
প্রাসঙ্গিক লেখাসমূহ-