চুল সোজা করার উপায় হিসেবে ১৩টি কার্যকর পদ্ধতির ব্যবহার

অধিকাংশ মানুষ মুখের পর চুলকেই শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়। চেষ্টা করে সুন্দর কেশধারী হওয়ার। আর সুন্দর চুল বলতেই যেন আমাদের অবচেতন মনের পর্দায় ভেসে ওঠে সোজা উজ্জ্বল ঘন কালো চুল। এই লেখাতে কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায় হিসেবে ব্যবহারযোগ্য জনপ্রিয় সকল প্যাক তৈরি করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখিত প্রতিটি মিশ্রণ সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে তৈরির উপযুক্ত এবং যেকোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।

তাই নিশ্চিন্তে এগুলো বাসায় তৈরি করে সরাসরি চুলে ব্যবহার করে আপনিও হতে পারেন সোজা ও উজ্জ্বল মজবুত চুলের অধিকারী।

সূচীপত্র show

১। দুধ ব্যবহার করে চুল সোজা করার উপায়

কাঁচা দুধে রয়েছে সকল অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান; ভিটামিন (এ, ডি, বি৬, বি১২), ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং আরো অনেক উপাদান, যা আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বহুকাল যাবৎ কোকড়া চুল সোজা ও সিল্কি করার উপায় হিসেবে মানুষ কাঁচা দুধ ব্যবহার করে আসছে।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. একটি খালি স্প্রের বোতল
২. তরল কাঁচা দুধ

কার্যপ্রণালী:-

১. একটি পানিশুণ্য স্প্রে এর বোতল নিয়ে সেটাকে তরল দুধ দ্বারা পূর্ণ করুন।
২. এটি মাথায় এমনভাবে স্প্রে করুন, যেন চুলের আগা থেকে গোঁড়া সমস্ত স্থানে দুধ স্পর্শ করে। ভালো ফলাফলের জন্য চিরুনী দিয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে স্প্রে করতে পারেন।
৩. চুলে আঙ্গুল চালিয়ে ধীরে ধীরে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
৪. আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
৫. প্রথমে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু এবং এরপর কন্ডিশনার দিয়ে মাথা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

২। নারিকেল এবং লেবু দিয়ে চুল সোজা করার উপায়

নারকেলে আছে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। অনেকের ধারণা, নিয়মিত নারিকেলের শাঁস খেলে মাথার খুশকি ও শুষ্কতা দূর হয় এবং চুল পড়াও বন্ধ হয়। পাশাপাশি, এর বাহ্যিক ব্যবহারও যথেষ্ট কার্যকরি। নারকেলের সঙ্গে লেবুর রসের সংমিশ্রণ কোকড়া চুল সোজা করার ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. নারকেল
২. লেবু

কার্যপ্রণালী:-

১. রাতে নারিকেলের দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন।
২. মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রেখে দিন।
৩. সকালে দেখবেন, মিশ্রনের পাত্রটির উপর একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার তৈরি হয়েছে। এটাই আমাদের চুল সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় অংশ। লেয়ারটুকু আলাদা করে ভিন্ন পাত্র নিন।
৪. পৃথককৃত অংশ মাথার ত্বক ও চুলের আগা থেকে গোড়ায় ভালোমতো ম্যাসাজ করুন।
৫. কিছুক্ষণ চিরুনীর সাহায্যে চুল সোজা করার চেষ্টা করুন।
৬. ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৭. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

আরও পড়ুন-

৩। ক্যাস্টর অয়েলের মাধ্যমে চুল সোজা করার উপায়

সবাই জানে, ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এটি চুলের ভাঙ্গন রোধে বেশ কার্যকরী। এসবের পাশাপাশি এই তেল চুল সোজা রাখতেও সাহায্য করে। তবে সেক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল একটি বিশেষ পদ্ধতিতে চুলে প্রয়োগ করা হয়। পদ্ধতিটি নিম্নরূপ।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. ক্যাস্টর অয়েল
২. ব্লো ড্রাই

কার্যপ্রণালী:-

১. পরিমাণ মতো ক্যাস্টর অয়েল মাথায় নিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন।
২. এরপর চিরুনির সাহায্যে বার বার চুল সোজা করার চেষ্টা করুন। চিরুনি করার পাশাপাশি হাই হিটে ব্লো ড্রাই ব্যবহার করুন।
৩. লক্ষ্য রাখবেন, ব্লো ড্রাই করার পর চুল যেন তেল জবজবে না থাকে। চুলকে অবশ্যই শুষ্ক করতে হবে।
৪. চুল শুষ্ক হয়ে গেলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য একটা ভেজা তোয়ালের সাহায্যে চুলগুলো জড়িয়ে রাখুন। এর ফলে চুল তাৎক্ষণিকভাবে অনেকটাই সোজা হয়ে যাবে।

৪। সোজা চুল পেতে কলার হেয়ারপ্যাক এর ব্যবহার

এটাকে অনেকে চুলের জন্য ম্যাজিকাল হেয়ার প্যাক বলেও সম্বোধন করে। এই প্যাকের সকল উপাদান চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ রূপ সচেতন মানুষ সপ্তাহান্তে অন্তত একবার এই প্যাকটি তৈরি করে ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটা নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল সোজা ও সিল্কি হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়া ও খুশকির সমস্যাও অনেক কমে যাবে।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. কলা
২. মধু
৩. দই
৪. অলিভ অয়েল
৫. ডিমের সাদা অংশ

কার্যপ্রণালী:-

১. দু’টি কলা নিয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
২. মিশ্রণটির সঙ্গে দুই টেবিল চামচ দই, দুই টেবিল চামচ মধু, একটি ডিমের সাদা অংশ এবং পরমাণমতো অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
৩. মিশ্রণটিকে মাথার চুলে ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন।
৪. ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৫. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৫। মুলতানি মাটি ব্যবহারে চুল সোজা করার পদ্ধতি

মুলতানি মাটি মুখের পাশাপাশি চুলের জন্যেও বেশ আকর্ষণীয়। তবে এই ইফেক্টিভনেস কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়ে যাবে যখন এর সঙ্গে চালের গুঁড়ো ও ডিমের সাদা অংশ মেশানো হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন এটি ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ভালো ফল পাবেন।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. মুলতানি মাটি।
২. চালের গুঁড়ো
৩. ডিমের সাদা অংশ

কার্যপ্রণালী:-

১. এক কাপ পরিমাণ মুলতানি মাটির সঙ্গে দুই চামচ চালের গুঁড়ো, একটি ডিমের সাদা অংশ এবং পানি মেশান।
২. মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে নিন এবং এরপর মোটা দাঁতের চিরুনীর মাধ্যমে চুল আঁচড়ান।
৩. ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের মাধ্যমে চুল পরিষ্কার করে নিন।

৬। দই, কলা এবং অলিভ অয়েল দিয়ে চুল সোজা করার উপায়

এই প্যাকটি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলে চুল থাকবে জটহীন, মজবুত এবং সিল্কি। চুল সোজা করার উপায় হিসেবেও এই প্যাকটি বেশ সমাদৃত।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:-

১. পাকা কলা
২. মধু
৩. অলিভ অয়েল
৪. দই

কার্যপ্রণালী:-

১. একটি পাত্রে ২টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ২ টেবিল চামচ দই নিয়ে ভালোমতো মিশ্রিত করুন।
২. মিশ্রণটি চুলে ভালোমতো লাগিয়ে নিন।
৩. আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
৪. চুলে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা পরিষ্কার করে নিন।

পড়ে ভালো লাগতে পারে এমন কিছু-

৭। টকদই দিয়ে চুল সোজা করার উপায়

চুলের জন্য টকদই যেমন উপাদেয়, নারিকেলের তেলও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এই দুটি উপাদানের সম্মিলিত মিশ্রণ চুল সোজা করার জন্য বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. টকদই
২. লেবুর রস
৩. নারিকেলের তেল

কার্যপ্রণালী:-

১. এক কাপ টকদই এর সঙ্গে একটি লেবুর রস এবং ২ টেবিল চামচ নারিকেলের তেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করুন।
২. মিশ্রণটি চুল ও মাথার ত্বকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে থাকুন।
৩. ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে চুল পরিষ্কার করে নিন।

৮। অলিভ অয়েল ও ডিম ব্যবহার করে চুল সোজা করার উপায়

অলিভ অয়েল ও ডিমের মিশ্রণ চুলকে একই সঙ্গে উজ্জ্বল এবং স্ট্রেইট করে তোলে। এছাড়া চুলের ক্ষয় পূরণ করে চুলকে করে তোলে আরো স্বাস্থ্যবান এবং সিল্কি।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. ডিম
২. অলিভ অয়েল

কার্যপ্রণালী:-

১. একটি বাটিতে ২ টি ডিম নিন।
২. ডিমের মিশ্রণের সঙ্গে ২ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন।
৩. এরপর মিশ্রণটি চুলে আস্তে আস্তে মাখিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৪. অন্তত আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
৫. তারপর সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৯। গরম তেলের ট্রিটমেন্ট

এই মিশ্রণটি চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে সিল্ক করে তোলে এবং চুলের কোঁকড়ানো ভাব অনেকটাই দূর করে দেয়। সুন্দর ঝলমলে চুল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই মিশ্রণটি চুলে প্রয়োগ করুন।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. কাস্টর অয়েল
২. নারিকেলের তেল

কার্যপ্রণালী :-

১. কাস্টর অয়েল ও নারিকেলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে চুলোয় হালকা আঁচে সামান্য গরম করে নিন।
২. মিশ্রণটি মাথায় নিয়ে ১৫ মিনিট ভালোভাবে ঘষুন।
৩. আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
৪. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন।

১০। দুধ এবং মধু এর মাধ্যমে চুল সোজা করার উপায়

এই প্যাকটি উল্লেখ করার কারণ দুধে থাকা প্রোটিন আমাদের চুলের পুষ্টির অভাব পূরণে সহায়তা করে এবং মধু চুলের ফাটল সারিয়ে চুলকে করে তোলে মসৃণ। এই দুটি উপাদানের সম্মিলিত ব্যবহার চুলের কোকড়াভাবে দূর করতে বেশ সহায়ক।

প্রয়োজনীয় উপাদান:-

১. দুধ
২. মধু

কার্যপ্রণালী:-

১. একটি কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ দুধ এবং দুই টেবিল চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
২. মিশ্রণটি মাথায় ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।
৩. দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
৪. চুলে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা পরিষ্কার করে নিন।

১১। অ্যালোভেরা ও নারকেলের তেল ব্যবহারে সোজা চুল পাওয়ার উপায়

চুলে এ্যালোভেরা ও নারিকেল তেলের এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে চুল ঘন ও উজ্জ্বল হবে। চুলের কোকড়াভাব দূর হবে। এছাড়াও, মাথার ত্বকে হাইড্রোজেন প্রবেশ করতে পারবে। সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:-

১. নারিকেলের তেল
২. অ্যালোভেরা জেল

কার্যপ্রণালী:-

১. নারিকেলের তেল ও এ্যালোভেরার জেল একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্স তৈরী করুন।
২. মিশ্রণটিকে চুলোয় রেখে হালকা গরম করে নিন।
৩. মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
৪. ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন।
৫. মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন।

১২। স্টেইনলেস চুল পেতে ময়দা এবং ডিমের প্যাক

এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলে চুল দেখতে উজ্জ্বল হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে চুল দেখতে সিল্কি ও সোজা মনে হবে। সুন্দর স্বাস্থকর চুল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:-

১. সাদা ডিম
২. ৫ টেবিল চামচ ময়দা
৩. ১ কাপ মুলতানি মাটি
৩. ¼ কাপ দুধ

কার্যপ্রণালী:-

১. একটি ডিম, ৫ টেবিল চামচ ময়দা, ১ কাপ মুলতানি মাটি এবং পরিমাণ মতো দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পাতলা তরল মিশ্রণ তৈরী করুন।
২. পুরো মাথায় চিরুনির সাহায্যে মাখিয়ে নিন। চুলের ফাঁকে ফাঁকে হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে মাথার ত্বকে মিশ্রণটির স্পর্শ নিশ্চিত করুন।
৩. ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন।
৪. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা পরিষ্কার করে নিন।

১৩। স্ট্রেইট চুল পেতে কলা এবং পেঁপের মাস্ক

এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলে চুল দ্রুত লম্বা হয়ে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। এছাড়াও, এই প্যাকটি ব্যবহার করলে চুল সোজা ও সিল্কি হয়ে ওঠে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ :-

১. কলা
২. পেঁপেঁ

কার্যপ্রণালী:-

১. সমপরিমাণ কলা ও পেঁপেঁ একটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২. তৈরীকৃত মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ঠিকমতো লাগিয়ে নিন।
৩. ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪. মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করে পরিষ্কার করে ফেলুন।

শেষকথা – চুল সোজা করা উপায়

সুন্দর ঘন কালো সোজা চুল পেতে উপরের এক বা একাধিক মিশ্রণ নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করুন। এতে অবিধারিতভাবে চুলের কোঁকড়াভাব কেটে যাবে এবং আপনার চুল ঘন হতে শুরু করবে।

কিন্তু, আপনার চুল যদি বংশগতভাবেই কোঁকড়া হয়, তবে ফল পাওয়া অনিশ্চিত। তবে এই প্যাকগুলোর নিয়মিত ব্যবহার চুলে এনে দেবে অন্যরকম লাবণ্য।

আশা করি, চুল সোজা করার উপায় হিসেবে এখানে উল্লেখিত প্যাকগুলোর দ্বারা আপনি উপকৃত হবেন।

Leave a Comment