ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয় করার উপায় খুঁজছেন? একজন দায়িত্বশীল ও সচেতন ছাত্রের কিন্তু তাই করা উচিত! পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করার দারুণ কিছু উপায় জানতে পড়ে ফেলুন আমাদের আজকের লেখাটি।
দুর্দান্ত প্রতিযোগিতাময় এই যুগে টাকা আয় করতে প্রয়োজন চেষ্টা ও হাড়ভাঙা খাটুনি। ছাত্র জীবনই নিজেকে এই প্রতিযোগিতার জন্য তৈরী করার পারফেক্ট সময়। আর আধুনিক বিশ্বে অনলাইনে ইনকাম করে অনেকেই এগিয়ে যাচ্ছে এই যাত্রায়।
চাইলে আপনিও পারেন আপনার ছাত্রজীবনকে কাজে লাগাতে। এজন্য ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করার উপায় গুলো তো আপনার জানতেই হবে। তাই ছাত্র জীবনে অনলাইন ইনকামের সেরা ১০টি উপায় নিয়ে আজ এসেছি আপনার সামনে।
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম করা কেন প্রয়োজন?
ছাত্র অবস্থায় আয় করা কেন শুরু করবেন? আর অনলাইন ইনকামকেই কেন বেছে নিবেন? এর জন্য দুটি উত্তরই যথেষ্ট। ছাত্রজীবনে নিজের কর্মদক্ষতা যত বাড়াবেন, আপনার ভবিষ্যৎ তত বেশি সফল হবে৷ আর পড়াশোনার পাশাপাশি কাজে সময় দিতে চাইলে অনলাইনই হবে সেরা মাধ্যম।
এছাড়াও ছাত্র অবস্থায় আয় করে নিজেকে ও পরিবারকে সাপোর্টও দিতে পারছেন। তাহলে ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম কেন নয়?
কিভাবে অনলাইনে আয় করা শুরু করবেন?
প্রথমত আপনার জানতে হবে ছাত্রজীবনে আয় করার কি কি উপায় আছে। দ্বিতীয়ত আপনার কোন বিষয়ে দক্ষতা আছে সেই বিষয় নিয়ে আগাতে শুরু করুন। অথবা আপনি যে সেক্টর কাজ করতে আগ্রহী তার উপর স্কিল ডেভেলপমেন্ট করুন।
তাছাড়া কোন বিষয়ে কাজের চাহিদা বেশি৷ কিভাবে কাজ করলে বেশি বেশি ইনকাম করা যাবে এসব ইনফরমেশন অবশ্যই জানতে হবে। মোট কথা অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে এনালাইসিস না করে কাজ শুরু করবেন না।
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করার উপায় —
১. ব্লগিং করে আয়
বর্তমানে খুবই চাহিদাসম্পন্ন ও জনপ্রিয় ইনকাম সোর্স হল ব্লগিং। অনলাইন একটা নির্দিষ্ট টপিকের ওপর যাবতীয় খবরাখবর প্রকাশ কিংবা ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের প্লাটফর্ম হল ব্লগিং। ব্লগিং করে আয় করতে হলে আপনাকে যেসব বিষয় গুলো জানতেই হব-
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন
১। ব্লগিং করতে প্রাথমিকভাবে আপনার দরকার হবে একটি ডিভাইস। যেমন-
- কম্পিউটার
- ট্যাব
- স্মার্টফোন অথবা
- ল্যাপটপ
২। ফাস্ট ইন্টারনেট সার্ভিস।
৩। ভ্যালিড ইমেইল এড্রেস।
৪। বাংলায় লেখার জন্য অভ্র কিংবা বিজয় সফ্টওয়্যার ।
৫। ব্লগ সাইটে লেখালেখির জন্য একটি অ্যাকাউন্ট।
৬। নিয়মিত কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করা।
৭। এডসেন্স এপ্রুভাল করা।
ব্লগিং করে আয় করার উপায়
আপনার ব্লগ সাইটকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করতে পারেন। ব্লগিং করে আয় করার উপায় সমূহ হল-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনার সাইটে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে কিংবা রেফার করে সহজেই আয় করতে পারবেন। আপনার দেয়া লিংক থেকে কোনো গ্রাহক পণ্য কিনলেই বিনিময়ে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন৷ জনপ্রিয় অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার কিন্তু এভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করছে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ভাল পরিমানে আয় করতে পারবেন৷ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পন্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আপনাকে পেমেন্ট করবে।
আপনি শুধু অপনার অনলাইন কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন শো করবেন এবং এদের ভিউ এর উপরে টাকা পাবেন।
সরাসরি প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
আপনি একটি ই কমার্স প্লাটফর্ম হিসবে আপনার সাইটকে ডেভেলপ করতে পারেন। এখানে আপনি সরাসরি পণ্য বিক্রি করবেন বা রিসেল করবেন।
অনলাইন কোর্স পরিচালনা করে আয়
আপনার সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনলাইন কোর্স পাবলিস করেও অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কোর্স ভিউ কিংবা কোর্সের জন্য আলাদা চার্জ করে ইনকাম করতে পারবেন।
সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস প্রদান করে আয়
আপনার সাইট টি যদি অনেক বেশি ইনফরমেটিভ হয়। তবে, পাঠকরা আপনার সাইটের সাথে নিয়মিত আপডেট থাকতে চাইবে।
এটা সম্ভব হলে নিদিষ্ট চার্জের বিনিময়ে সাবস্ক্রািপশন বা মেম্বারশিপ সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। শুনতে অবিস্বাশ্য মনে হলে বাস্তবিকই এটা করেও বেশ ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।
কিভাবে সফল ব্লগার হবেন?
• ব্লগের জন্য উপযুক্ত ডোমেইন নেইম বাছাই
• কোয়ালিটি সম্পন্ন ডোমেইন হোস্টিং
• মানসম্মত ব্লগ ডিজাইন
• মোস্ট ডিমান্ডিং ও ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট
• সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা ও মার্কেটিং
২. ওয়েব ডেভলপমেন্ট থেকে আয়
ওয়েব ডেভলপমেন্ট হল অনলাইনে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরি। একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন, টেম্পলেট থেকে শুরু করে সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট ও ডাটাবেস নিয়ন্ত্রণ করাই একজন ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ।
ওয়েব ডেভলপমেন্ট শুরু করতে কি কি জানতে হবে?
ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে টেকনিকাল ও নন-টেকনিক্যাল স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ, CMS, অ্যাপ্লিকেশন আইডি, প্রভৃতি বিষয়ে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে৷ যেমন –
• HTML, CSS, Javascript, PHP
• ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট
• Graphical User Interface (GUI)
• Application Programming Interface
• প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ C++, Java, Python
• ওয়ার্ডপ্রেস এবং লারাভেল
• প্রোগামিং স্ক্রিপ্ট বা কোড রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গিট
• UI / UX ডিজাইন সফটওয়্যার
ওয়েব ডেভলপমেন্ট করে কিভাবে আয় করবেন?
• সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে।
• ওয়েব হোস্টিং বিজনেস করে।
• অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে।
• এড স্পেস বিক্রি।
• ভিভিন্ন কোম্পানি বা ক্লায়েন্টের কাছে ওয়েবসাইট বিক্রি।
• স্পনসরসিপ আর্টিংকেল প্রকাশ।
• অ্যাফলিয়েট মার্কেটিং।
• ওয়েবসাইট বা ব্লগ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করে।
৩. Data Entry করে ইনকাম
ফিজিক্যাল কোনো ডাটা কে কম্পিউটার বা ডিজিটাল কোনো ডিভাইসের মধ্যে ডিজিটালি এনট্রি করার কাজকে ডাটা এনট্রি বলা হয়ে থাকে।
কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে বেসিক নলেজ, মাইক্রোসফট অফিস ও এক্সেল এর দক্ষতা থাকলেই ডাটা এনট্রি করে ইনকাম করা সম্ভব।
ডাটা এনট্রি করে কিভাবে আয় করবেন?
বিভিন্ন কোম্পানিতে কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটা এনট্রির কাজের জন্য প্রচুর লোক প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে এগুলোর জন্য এপ্লাই করতে পারেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডাটা এনট্রির অনেক কাজ থাকে। ডাটা এনট্রির যেসব সেক্টরে আপনি কাজ করতে পারবেন-
• পেপার ডকুমেন্টেশন
• MS Exel ডাটা এনট্রি
• ট্রান্সলেশন
• জব পোস্টিং
• ডেটাবেস ক্রিয়েশন
• ডেটা কনভারসন
• স্পেলিং চেকিং
• ইনফরমেশন আপডেট ইত্যাদি
• ক্যাপচা ফিলআপ
• সার্ভে
৪. ফেসবুক থেকে আয়
অনলাইন ইনকামের জন্য ফেসবুক এখন অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। বর্তমানে ফেসবুককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রচুর ইনকাম সোর্স। স্টুডেন্টদের জন্য তো ফেসবুক আরো বেশি উপযোগী ও সময়সাপেক্ষ।
যেভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়?
১। ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম
আপনার কি একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে? আপনার গ্রুপে কি অনেক মেম্বার বা ভিজিটর আছে? তাহলে এই গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে ফেলুন। আর নয়ত মজার মজার কিংবা সময়োপযোগী কন্টেন্ট পাবলিশ করে পেজ এ একটিভিটি বাড়ান৷
এরপর ফেসবুক পেজ এর মধ্যে –
• স্পনসরড কনটেন্ট পাবলিশ করে
• পেইড সার্ভে পরিচালনা করে
• অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রচারের ব্যবস্থা
• গ্রুপে সরাসরি Physical অথবা Digital Product বিক্রি করে
• কোর্স বিক্রি করে
• বিভিন্ন ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল প্রমোশন করিয়ে আয় করতে পারেন অনেক টাকা।
ফেসবুক পেইজ এ ভিডিও কন্টেন্ট পাবলিশ করে আয়
সাম্প্রতিক বিষয়াবলী, ট্রাভেল, ফুড, নাচ, গান, ফানি কন্টেন্ট প্রভৃতি বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক পেজ নিয়মিত প্রকাশ করুন। এতে করে একটা সময় ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন করার যোগ্যতা অর্জন করলে সেই পেজটি মনেটাইজেশন করেও প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
আপনার ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ এ অন্যের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করে বিক্রি হবার পর বিক্রয় মূল্যের কিছু অংশ কমিশন হিসেবে নিয়ে আয় করা সম্ভব।
সরাসরি পণ্য বিক্রি করে আয়
নিজের তৈরি করা অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। এতে আপনার ফিজিকালি শপ তৈরির খরচও বাঁচবে।
ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে আয়
আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানি বা অনলাইন সেলারদের কাছে বেশি ফলোয়ার আছে এমন ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
৫. ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে আয়
দেশ-বিদেশ তথা আশেপাশে; সর্বত্র একটু খুঁজলেই আজ প্রচুর ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায় যারা ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে প্রচুর টাকা প্রায় নিয়মিতই আয় করছেন। এবং এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
এই সংখ্যা বাড়ার কারণ হচ্ছে- ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করলে সহজেই পরিচিতি পাওয়া যায়, পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ টাকাও আয় করা সম্ভব হয়।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য কি কি করা প্রয়োজন?
• প্রথমতই আপনার দরকার হবে একটি ইউটিউব চ্যানেল। যা খুব সহজেই আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়ে খুলতে পারবেন।
• এরপর অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
• পরবর্তীতে ইউটিউব চ্যানেলে মানসম্মত ভিডিও আপলোড করা শুরু করুন।
• সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ও ভিডিওগুলোর নিয়মিত প্রোমোশন করুন।
• পর্যাপ্ত ওয়াচটাইম ও সাবসক্রাইবার হলে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করুন।
কি কি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?
• প্রোডাক্ট রিভিউ
• টেকনোলজি হেল্প
• হেল্থ টিপস
• সাম্প্রতিক তথ্য
• ইউনিক ও ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট
• ফানি কনটেন্ট
• অনলাইন কোর্স বা টিউটোরিয়াল
• এপস রিভিউ
• কুকিং রেসিপি
• গেমিং চ্যানেল
৬. রিভিউ করে আয়
অনলাইনে প্রডাক্ট রিভিউ করে আয় করা খুবই সহজ একটি মাধ্যম৷ আপনি নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের রিভিউ করে বিনিময়ে কমিশন পেতে পারেন। কিংবা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের ভিজিটর বাড়াতে পারেন।
কিভাবে প্রোডাক্ট রিভিউ করবেন?
• প্রথমত যেসব প্রডাক্টের রিভিউ করবেন সেগুলো সম্পর্কে ভাল করে রিসার্চ করবেন।
• মোস্ট ডিমান্ডিং প্রোডাক্টের রিভিউ করার চেষ্টা করবেন।
• আপনার সোশ্যাল প্লাটফর্মের ভিজিটরদের আগ্রহের কথা ভেবে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন।
• এরপর ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট কিংবা ইন্সট্রাগ্রামে প্রোডাক্টের দাম, সুবিধা-অসুবিধা ও যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
• প্রোডাক্ট রেফার করেও কমিশন পেতে পারেন।
• এছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফ্রী প্রোডাক্টও পেতে পারেন।
৭. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করার উপায়
অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও লাভজনক প্লাটফর্ম হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে অধ্যাবসায় ও পরিশ্রম করে সফলভালে কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হলে ইনকাম করা সম্ভব লাখ লাখ টাকা।
এসব মার্কেটপ্লেস হাজার হাজার কাজ রয়েছে। এখানে যোগ্যতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনিও অবশ্যই সফল হতে পারবেন এবং সেই সঙ্গে হতে পারবেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে আয় করবেন?
• প্রথমত এক বা একাধিক সফ্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট করবেন। যেমন- ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এনট্রি ইত্যাদি!
• এরপর আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার এর মত মার্কেটপ্লেস ভ্যালিড একাউন্ট খুলবেন।
• কাজে বিড করে কিংবা কাজের গিগ পাবলিশ করে ক্লায়েন্টর কাজ থেকে কাজ নিবেন।
• ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে শুরুতেই সফল না হলেও ধৈর্য ধরে লেগে থাকবেন।
৮. ছবি তুলে বা ফটোগ্রাফি করে আয় করার উপায়
আপনি কি অনেক ভাল ছবি তুলতে পারেন? আপনার কি একটি ভাল মানের ক্যামেরা আছে? তাহলে ফটোগ্রাফি করে আয় করা আপনার জন্য কঠিন কিছু নয়।
এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেবেন। আপনার প্রতি ছবি ডাউনলোড এর জন্য কিংবা বিক্রির জন্য পেতে পারেন অনেক টাকা। এছাড়াও কনট্রাকে ফটোগ্রাফি করেও প্রচুর ইনকাম করা সম্ভব৷
ছবি বিক্রি করে করে আয় করার কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
• shutterstock.com
• stock.adobe.com
• istockphoto.com,
• smugmug.com,
• canstockphoto.com,
• alamy.com, প্রভৃতি।
৯. ডোমেইন ট্রেডিং করে আয় করার উপায়
দেশে ও দেশের বাইরে হাজার হাজার নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। নিজস্ব একটি ডেমেইনের ডিমান্ড বাড়ছে। তাই আজকের বাজারে ডোমেইন ট্রেডিং বা ডোমেইন নেম ক্রয় করে পরবর্তীতে বেশী দামে বিক্রি করা; খুবই লাভজনক একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
ডেমেইন ট্রেডিং কিভাবে করবেন?
ট্রেডিং এর জন্য আপনি আপনার নিজস্ব অনলাইন প্লাটফর্ম ইউজ করবেন। ব্যাকলিংকের পরিমান বৃদ্ধি করতে ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইটের ডোমেইন ট্রেডিং করবেন। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেও ট্রেডিং করতে পারবেন।
এছাড়া বিভিন্ন ডোমেইন ট্রেডিং ওয়েবসাইট, যেমন- Flippa, Sedo প্রভৃতি সাইটেও ডোমেইন ট্রেডিং করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
১০. অনলাইন রিসার্চ ও সার্ভে করে আয়
বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অনলাইন রিসার্চ বা সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেও অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশ কিংবা ইন্ডিয়া থেকে এই সূযোগ কিছুটা কম। তবে VPN বা VNS সার্ভিস গ্রহণ করে USA বা Uk IP ব্যবহার করেও অনলাইন রিসার্চ ও সার্ভে করার কাজটি সফলভাবে করা সম্ভব। অনলাইনে সার্ভে করার সেরা কিছু সাইট হল –
• viewpointpanel.com
• ysence.com
• toluna.com
• onepoll.com
• prizerevel.com
• opinionnow.in
• neobux.com
• swagbucks.com
অনলাইনে আয় করাটা এখন খুব একটা সহজ পর্যায়ে নেই। বেড়েছে চাহিদা আর কম্পিটিশন। তবে, আশার কথা এই যে, অনলাইন আয় করার সেক্টরও কিন্তু কম না।
এখানে সফল হতে হলে প্রয়োজন একটা প্রোপার সাজেশন। যেটা ফলো করে আপনি স্টুডেন্ট লাইফেই সফল হতে পারবেন।
আশা করছি, ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করার উপায় নিয়ে আমাদের এই আলোচনা নিঃসন্দেহে এক্ষেত্রে আপনার কিছুটা কাজে আসবে। আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আজ এখানেই শেষ করছি।